নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভূমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে ও রাত ২টার দিকে সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়কের শিমুলতলী নামক এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নীলফামারীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ভূমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে ও রাত ২টার দিকে সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়কের শিমুলতলী নামক এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে কামরুজ্জামান (৪০) ও ডোমার পৌরসভার পশ্চিম চিকনমাটি ঘুন্টিপাড়া এলাকার মৃত আনন্দ বর্মণের ছেলে সুমন রায় (৩২)। কামরুজ্জামান ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ (টিএমএসএস) নামের একটি এনজিওর ফিল্ড সুপারভাইজার ও সুমন রায় ডোমার থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, কামরুজ্জামান নামের এক যুবক মোটরসাইকেলযোগে কর্মস্থল ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ থেকে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। উপজেলা ভূমি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ২টার দিকে সুমন রায় নামের এক যুবক মোটরসাইকেলযোগে সৈয়দপুর থেকে ডোমারের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। সৈয়দপুর-নীলফামারী মহাসড়কের শিমুলতলী এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে তাকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সুমনের প্রতিবেশী রাশেদুল আপেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার জীবনের অনেক বড় একটি সময় উনার সঙ্গে কেটেছে। সময়ের পরিবর্তনে ব্যস্ততা বাড়লেও আমাদের আন্তরিকতা বিন্দুমাত্র কমেনি। পেশাগত জীবনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডোমার থানায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অফিসের কাজের সুবাদে সৈয়দপুর থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা শিকার হয়ে মারা গেছেন। আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।
শরিফুল ইসলাম/এমজেইউ