১. নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথোপকথন
নিজেকে ভালো রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি সচেতন হতে হবে আপনাকেই। সেটি খাবার থেকে শুরু করে ঘুম, ব্যায়াম থেকে শুরু করে ছোটখাটো সব অভ্যাস, সবকিছুর প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আমরা প্রতিদিন যেসব কাজ করি, সেগুলোই আমাদের ভালো থাকা কিংবা খারাপ থাকার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিজের কাজগুলো করতে হবে মনোযোগ দিয়ে। ভালো কাজের ফলস্বরূপ ভালো কিছুই ঘটবে আপনার জীবনে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৩টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আপনাকে ভালো রাখবে-
১. নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথোপকথন
নিজের সঙ্গে নেতিবাচক কথা না বলে সেগুলো ইতিবাচক করে ফেলুন। নেতিবাচক কথা আপনাকে ভেতর থেকে ভেঙে দিতে পারে। তাই নিজের সঙ্গেও এ ধরনের কথা বলবেন না। আমার কোনো যোগ্যতা নেই কিংবা আমি এটা পারবো না- এ ধরনের কথা নিজেকে বলবেন না। বরং নিজেকে সাহস দিন। বলুন যে, তুমি পারবে! চেষ্টায় মানুষ কী না পারে। তাই নিজের সঙ্গে ইতিবাচক কথা বলুন। দিনশেষে এর প্রতিফলন নিজেই দেখতে পাবেন।
২. বর্তমানকে গুরুত্ব দিন
অতীত আমাদের জীবন থেকে চলে গেছে, ভবিষ্যতের কথা আমরা কেউই জানি না। তাই বর্তমানের প্রতি মনোযোগ দিন। অতীতের অনেক কষ্টকর ঘটনা মনে পড়লে আপনার জন্য হয়তো নিজেকে সামলে চলা মুশকিল হতে পারে। তাই অতশত না ভেবে কেবল বর্তমানের প্রতিই মনোযোগী হোন। বর্তমানকে যত সুন্দর করার চেষ্টা করবেন, আপনার ভবিষ্যৎ ঠিক ততটাই সুন্দর হবে। ধরুন, আপনার বস কোনো কারণে আপনার ওপর ক্ষুণ্ণ হলেন ও বকাঝকা করলেন, তখন এই দুঃখ নিয়ে পড়ে না থেকে বরং যে কারণে এমনটা ঘটেছে তার উন্নতি করার চেষ্টা করুন।
৩. ইতিবাচক মানুষের সঙ্গে
ইতিবাচক বন্ধু, পরামর্শদাতা এবং সহকর্মীদের খুঁজুন। যখন ইতিবাচক মানুষের আশেপাশে থাকলে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ও ইতিবাচক গল্প শুনতে পাবেন। এই টিপসগুলো গ্রহণ করলে তা আপনাকে আরও ইতিবাচক মানসিকতা বিকাশে সহায়তা করবে। ইতিবাচক চিন্তার সুবিধাগুলো ক্রমবর্ধমান; আপনি এটি যত বেশি অনুশীলন করবেন, তত বেশি লাভ করবেন।
এইচএন