নাটোরে প্রাণ কোম্পানির কারখানা বন্ধ

নাটোরে প্রাণ কোম্পানির কারখানা বন্ধ

নাটোরে প্রাণ এগ্রো কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কোম্পানির এমডি ও শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের আলোচনায় বসার কথা আছে। এর মধ্যে কোম্পানির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাণ কর্তৃপক্ষ।

নাটোরে প্রাণ এগ্রো কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে কোম্পানির এমডি ও শ্রমিকদের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবের আলোচনায় বসার কথা আছে। এর মধ্যে কোম্পানির সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাণ কর্তৃপক্ষ।

এদিকে শ্রমিকদের বেশিরভাগ দাবি মেনে নেওয়া হলেও বেতন বৃদ্ধিসহ অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার দাবি না মানায় তারা বিক্ষোভ করেন। শ্রমিকদের বিক্ষোভকে ঘিরে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রাণ-এর কারখানার ভেতরে অবস্থান নেন। 

এদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার একডালা এলাকায় প্রাণ এগ্রোর কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ চলতে থাকে।

জানা গেছে, পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শ্রমিকদের সব দাবি-দাওয়া মেনে না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। সকাল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রাণ এগ্রো কোম্পানি নাটোরের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) হযরত আলীকে কারখানার বাইরে বের হতে দেননি। বিক্ষোভের খবর পেয়ে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মাছুদুর রহমান ও পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন কারখানায় আসেন। তারা দীর্ঘ সময় কোম্পানির শ্রমিক ও মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন।

এরপর সন্ধ্যার পরে অর্থনৈতিক দাবি-দাওয়া নিয়ে কোম্পানির এমডির সঙ্গে আলোচনার আশ্বাসসহ সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোম্পানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভ বন্ধ করেন শ্রমিকরা। পরে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেনারেল ম্যানেজার (ফ্যাক্টরি) হযরত আলীকে উদ্ধার করে কারখানার বাইরে নিয়ে যান।

মিতা খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক বলেন, প্রাণ কোম্পানি আমাদের কথা দিয়েও সেই কথা রাখেনি। তারা বলেছিল ২৫ তারিখের মধ্যে আমাদের সব দাবি মেনে নেবে। কিন্তু আমাদের প্রধান দাবি বেতন বৃদ্ধি (সর্বনিম্ন ১২ হাজার টাকা) তারা মেনে নেয়নি। আমরা আমাদের দাবির কথা তুললেই বলে কোম্পানি বন্ধ করে দেব।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মাছুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা কারখানায় এসেছি। এখানে শ্রমিক এবং প্রাণ কোম্পানির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখানকার জেনারেল ম্যানেজারকে (ফ্যাক্টরি) প্রত্যাহার করেছে প্রাণ কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের প্রধান দাবি বেতন বৃদ্ধির বিষয়ে আগামী সপ্তাহে কোম্পানির এমডি ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব। 

তিনি বলেন, এর মধ্যে প্রাণ কোম্পানির সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাণ কর্তৃপক্ষ। আজকের মতো শ্রমিকরা বিক্ষোভ বন্ধ করেছেন। প্রাণ কোম্পানির কারখানা এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

নাটোর প্রাণ এগ্রো কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অ্যাডমিন) শামীম রেজা জানান, ১ অক্টোবর পর্যন্ত কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

গোলাম রাব্বানী/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *