নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে তহবিল গঠনের পরামর্শ

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে তহবিল গঠনের পরামর্শ

বাংলাদেশ এখনও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে। চীনের সাফল্য থেকে বাংলাদেশ মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারে। চীনা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ খাতে চায়নার বিনিয়োগ বাড়াতে বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি রোধ করার পাশাপাশি সরকারকে তহবিল গঠন করার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

বাংলাদেশ এখনও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে। চীনের সাফল্য থেকে বাংলাদেশ মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারে। চীনা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এ খাতে চায়নার বিনিয়োগ বাড়াতে বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি রোধ করার পাশাপাশি সরকারকে তহবিল গঠন করার পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

সিপিডি মনে করে, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে বাংলাদেশে জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন।  

চীনা বিনিয়োগ এক্ষেত্রে অর্থায়নের একটি বড় উৎস হতে পারে। কারণ নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে চীন বিশ্বের শীর্ষস্থানীয়। 

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) গুলশানের একটি হোটেলে “নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ : বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়?” শীর্ষক ডায়ালগে এসব পরামর্শ দেয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। 

পাশাপাশি ভর্তুকির মাধ্যমে মুদ্রা অদলবদল, দেশীয় ব্যাংককে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে টাকায় ঋণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে ডায়ালগে আরও উপস্থিত ছিলেন, রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জ্বালানি খাতে চায়নার বিনিয়োগ আনতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন।

তিনি বিনিয়োগ কারীদের কর প্রণোদনা, ভর্তুকি দেওয়ার পরামর্শ দেন। সরকারি আর্থিক সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বকে এগিয়ে আসতে বলেন। পাশাপাশি বৈদেশিকা মুদ্রার ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তহবিল গঠন ও দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিনিয়োগ করতে বলেন।

সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন বিদ্যুতের জন্য উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি চীনা বিনিয়োগকারী এবং অর্থায়নকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি সুযোগ দেবে।  বেসরকারি খাতের জন্য বিপিডিবির নতুন চালু হওয়া ১০টি গ্রিড-সংযুক্ত সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র ভালো বিনিয়োগকারীদের ভালো পরীক্ষা হতে পারে।

এছাড়া আরও বলা হয়, সরকার ‘বিপরীত নিলাম’ পদ্ধতিতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারে। চীন বিনিয়োগভিত্তিক বিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানিভিত্তিক ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প প্ল্যান্ট প্রকল্পগুলো ‘বিপরীত নিলামের’ জন্য তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারে।

আরএম/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *