নড়াইলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আ.লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা

নড়াইলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আ.লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০২ জনের নামে মামলা হয়েছে।

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১০২ জনের নামে মামলা হয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে লোহাগড়া থানায় মামলাটি হয়। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০-১৫০ জনকে।

মামলাটি করেছেন লোহাগড়া পৌরসভার মশাগুনি গ্রামের মো. আজিবর মল্লিকের ছেলে মো. শহিদুল মল্লিক।

মামলার বিষয়টি লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার ১ নম্বর আসামি ফয়জুল হক রোম সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, পৌরসভার কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভন্ডুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুর আমির লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কাশিপুর ইউপি চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, যুগ্ম সম্পাদক ও ইতনা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শিহানুক রহমান।

এছাড়াও লাহুড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরান শিকদার, লোহাগড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ও জয়পুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল লিওন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বিএম কামাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ শেখ, সাধারণ সম্পাদক সজীব মুসল্লীসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

মামলায় বাদি অভিযোগ করেছেন, গত ৪ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে লোহাগড়া সিঅ্যান্ডবি চৌরাস্তা এলাকায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশনা মোতাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রামদা, লাঠি, ছোরা, শর্টগান, বন্দুক, পিস্তল, হাতবোমাসহ নানা অস্ত্র নিয়ে হয়ে হত্যার উদ্দেশ্য বাদি, সাক্ষীসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের কুপিয়ে জখম করে ও বেধড়ক মারপিট করে।

এছাড়াও সেসময় এনপিপির চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের বাড়িসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাড়ির গেট ভাঙচুর করে। এসব বাড়ি ভাঙচুর চালিয়ে প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। ভাঙচুর চালিয়ে সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রাণনাশের হুমকি দেয় ও ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নেতাকর্মীদের আহত করে।

পিএইচ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *