পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মীর আফসার আলী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মীরাক্কেল’-এর মীর নামেই পরিচিত যিনি। অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার না হলেও সঞ্চালনা, উপস্থাপনা ও রেডিও জকি হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা। দুই বাংলাতেই মীরের রয়েছে সমান ভক্তসংখ্যা।
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মীর আফসার আলী। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘মীরাক্কেল’-এর মীর নামেই পরিচিত যিনি। অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার না হলেও সঞ্চালনা, উপস্থাপনা ও রেডিও জকি হিসেবেও নিজের ক্যারিয়ার গড়েছেন এই তারকা। দুই বাংলাতেই মীরের রয়েছে সমান ভক্তসংখ্যা।
আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে গণ কনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে টলিউডের মীর আফসার আলী, সোহিনী সরকার, জিতু কমল, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে একাধিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন মীর।
মীর বক্তব্যে বলেন, ‘যারা এই আন্দোলনকে হুজুগ বলে মনে করছেন, বা ছোট করছেন এবার তাদের সামনে দেখলেই থুতু ছেটাবেন।’ এরপর চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের অনেক শুভেচ্ছা এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমার মনে হয় নিজেরাই নিজেদের হাততালি দিতে পারেন। এর আগে এই শহর এমন আন্দোলন দেখেনি। আজকে আমাদের সঙ্গে যৌথভাবে আন্দোলন নেমেছেন অন্যান্য ডাক্তারি সংগঠনগুলোও।’
টলিউডের অনেকের উদ্দেশ্যে নাম না করে কৌতুক অভিনেতা আরও বলেন, ‘আমার বেশ কিছু শিল্পী বন্ধু যারা সিনেমা টেলিভিশনে কাজ করেন, তাদের থেকে সাধারণ মানুষ জবাব চাইছেন, কিন্তু তারা নীরব জবাব দিতে পারছে না। কারণ দুর্ভাগ্যবশত তাদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা আর সেই টিকির জোর আছে। কিন্তু জনগণ কেন তাদের প্রতি এই জনরোষ দেখাচ্ছেন সেটা তারা বুঝতে পারছেন না। যাদের টিকি অন্য কোথাও বাঁধা তাদের ছেড়ে দিন। ওদের ট্রোল করার বদলে নিজের মনে এটা ঢুকিয়ে নিন যে এই সমাজের আপনার পালন করার জন্য অনেক দায়িত্ব আছে।’
মীর পরিশেষে বলেন, ‘এই আন্দোলনের অনেকটা ইতিবাচক দিক আছে। যাদের কোনও মেরুদণ্ড ছিল না, অবশেষে তাদের সেই মেরুদণ্ড দেখা হচ্ছে। আবার যাদের মেরুদণ্ড আছে বলে বিশ্বাস করতাম তাদের কিছু একটা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। তাই তারা উঠে দাঁড়িয়ে সত্যটা বলতে পারছেন না।’
উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল।
তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।
এমআইকে/