দিনাজপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দিনাজপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে আহত শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিতে আহত রাহুল নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। জেলার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থা শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় তার মৃত্যু হয়।

দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গুলিতে আহত রাহুল নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। জেলার এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থা শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত শিক্ষার্থী সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। 

নিহত শিক্ষার্খী রাহুলের বড় ভাই আলামিন ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট আমার ছোট ভাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে মিছিলে ছিলো। দুপুরের দিকে দিনাজপুর শহরের হাসপাতাল মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ অবস্থান নেয় পৌরসভা রেলক্রসিং এলাকায়। এ সময় শিক্ষার্থী পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন একটি কাঁদানে গ্যাসের শেল রাহুলের সামনে এসে পড়ে। পরে পুলিশের গুলিতে আহত হয় আমার ভাই রাহুল। 

পরে আন্দোলনকারীরা তাৎক্ষণিক তাকে দিনাজপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখান থেকে তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার শরীর থেকে গুলি বের করেন চিকিৎসকেরা। পরে হাসপাতাল থেকে রাহুলকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বুধবার বিকেল থেকে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। পরে সন্ধ্যায় তাকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের আইসিইউতে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, রাহুলের ঊরুতে ছররা গুলির চিহ্ন আছে। তার শ্বাসকষ্টও ছিল। গত বুধবার আনুমানিক রাত আটটায় অচেতন অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়। তার রক্তচাপ খুব কম ছিল, জ্বরও ছিল। মস্তিষ্কে ইনফেকশন ধরা পড়েছিল। আজ সন্ধ্যায় রাহুলের মৃত্যু হয়।

ইমরান আলী সোহাগ/এমএসএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *