দেশের অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্য পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে আরও শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এবার পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্য পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে আরও শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এবার পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর ট্যারিফ কমিশন থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।
ট্যারিফ কমিশনের চিঠির সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দেশে অত্যাবশ্যকীয় ভোগ্য পণ্য পেঁয়াজের দামে পুনরায় অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যা সাধারণ মানুষের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশে পেঁয়াজের স্থানীয় চাহিদা ২৬-২৭ লাখ মেট্রিক টন। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন দ্বারা দেশের চাহিদার ৭৫-৮০ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হয়।
অন্যদিকে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকার বর্তমানে ২০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্কারোপ করেছে। দেশে প্রয়োজনীয় চাহিদাপূরণ ও ঊর্ধ্বমুখী বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি করা আবশ্যক হয়ে পেড়েছে। সে কারণে আমদানি ব্যয় হ্রাসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। পেঁয়াজ আমদানিতে বিদ্যমান ৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি বা শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা সমীচীন হবে। একই সঙ্গে আমদানি করা পেঁয়াজ স্থানীয় বাজারে প্রবেশের পর বাজার ব্যবস্থাপনায় তা যথাযথভাবে মনিটরিং করার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।
সূত্র জানায়, স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমদানিতে শুল্কারোপ করা হয়। তবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সরকার গত ৫ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ আমদানিতে আরোপিত সমুদয় নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আগামি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রত্যাহার করে নেয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ হারে কাস্টমস ডিউটি আরোপিত রয়েছে।
বর্তমানে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। গত কয়েকদিন ধরে পেঁয়াজের দাম বাড়তি যাচ্ছে, এতে করে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বছরের এই সময়ে এসে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিকের চেয়ে কম থাকে, ফলে দাম বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর আমদানিতে পেঁয়াজের পাশাপাশি আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছিল। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।
আরএম/এসএম