নজিরবিহীন বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের ১৫টির অধিক জেলা। পানিতে তলিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়ের। এর বিপরীতে বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সারাদেশের মানুষ। এরমধ্যে অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়েছে ১০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণের। সেসব ত্রাণ প্যাকেটের জন্য আফতাব নগরে ঢল নেমেছিলো স্বেচ্ছাসেবকদের। এর মধ্যে একজন পা হারানো ব্যক্তিও স্ক্রেচে ভর দিয়ে ত্রাণ প্যাকেটের কার্যক্রমে অংশ নেন।
নজিরবিহীন বন্যায় বিপর্যস্ত বাংলাদেশের ১৫টির অধিক জেলা। পানিতে তলিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়ের। এর বিপরীতে বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সারাদেশের মানুষ। এরমধ্যে অরাজনৈতিক ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়েছে ১০ কোটি টাকার ত্রাণ বিতরণের। সেসব ত্রাণ প্যাকেটের জন্য আফতাব নগরে ঢল নেমেছিলো স্বেচ্ছাসেবকদের। এর মধ্যে একজন পা হারানো ব্যক্তিও স্ক্রেচে ভর দিয়ে ত্রাণ প্যাকেটের কার্যক্রমে অংশ নেন।
বিষয়টি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। ফাউন্ডেশনের প্রধান মাওলানা শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, অভূতপূর্ব ঘটনাবহুল এক দিন পার হলো আজ। স্বেচ্ছাশ্রম দেয়ার জন্যও যে মানুষ এইভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারে, আমাদের ধারণার বাইরে ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের কর্মযজ্ঞে কায়িক শ্রম দিতে ছুটে এসেছিলেন হাজারো মানুষ। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পা হারানো প্রতিবন্ধী, সনাতন ধর্মাবলম্বী, এমনকি শিশুরাও। আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
মাওলানা আহমদুল্লাহ আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার পরিবারের জন্য শুকনো খাবারের প্যাকেজের কিছু অংশের কাজ আজ শেষ হয়েছে। এই কাজ শেষ হতে আরো দুদিন লাগবে। এছাড়া ৪০ হাজার পরিবারের জন্য ভারী খাবারের পরিকল্পনা থাকলেও সেটা বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ভারী খাবারের কিছু অংশের কাজও সম্পন্ন হয়েছে আজ।
বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেও নজর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ৪ হাজার পরিবারের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা থাকলেও সেটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার করা হয়েছে। ঘর হারানো ৫ হাজার পরিবারকে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
একইসাথে জাতীয় দুর্যোগ থেকে আত্মরক্ষার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রত্যাশা করেন তিনি।
আরএইচটি/এমএ