ত্রাণ প্যাকেট করছেন বড়রা, শিশুরা করাচ্ছেন পানি পান

ত্রাণ প্যাকেট করছেন বড়রা, শিশুরা করাচ্ছেন পানি পান

বন্যার্তদের জন্য চলছে ত্রাণের প্যাকেট তৈরি। এতে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক। কাজ করতে করতে তারা হাঁপিয়ে গেলে জগ থেকে পানি ঢেলে পান করাচ্ছেন ছোট শিশুরা।

শনিবার (২৪ আগস্ট) এমন প্রশান্তির দৃশ্যই চোখে পড়েছে অরাজনৈতিক ও অলাভজনক সংগঠন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ প্রস্তুত কার্যক্রমে।

ভারত থেকে নেমে আসা পানির ঢল এবং অতিবর্ষণে বিপর্যস্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলা। প্রায় ১৫টিরও বেশি জেলায় বন্যার পানিতে তৈরি হয়েছে মানবিক বিপর্যয়। এমন অবস্থায় সারাদেশের মানুষ যার যার জায়গা থেকে এগিয়ে এসেছেন বন্যার্তদের সহযোগিতায়। অনেক সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও অংশ নিয়েছেন ত্রাণ বিতরণে। অলাভজনক আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনও ৫০০ টন ত্রাণ প্রস্তুত করে এরই মধ্যে বিতরণ শুরু করেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ত্রাণের প্যাকেট প্রস্তুত করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রতিদিনই সকাল থেকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সামনে স্বেচ্ছাসেবা দেওয়ার জন্য মানুষজন লাইন ধরে অপেক্ষা করছেন। এতে বড়রা যেমন আসছেন তেমনি ছোট শিশুরাও ভিড় করছেন। তবে ছোট শিশুদের কায়িক শ্রমে অংশ নিতে দিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তবে তারা আগ্রহ দেখিয়ে ত্রাণের প্যাকেট তৈরিতে কাজ করা বড়দের পানি পান করাচ্ছেন।

বিষয়টি নিয়ে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছে, ‘এক মুগ্ধ চলে গেছে। রেখে গেছে অনেক মুগ্ধ। তৃষ্ণার্তের কাছে পানি বিলানো যাদের কাজ।’

আরেক পোস্টে তারা উল্লেখ করেন, ‘বড়রা ত্রাণের ভারি কাজ করছে। তাই বলে শিশুরা তো বসে থাকতে পারে না। ওরা দুই ভাই এসেছে বড়দের পানি খাওয়াতে।’

অপরদিকে, এখনও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের ত্রাণ তহবিলে বিভিন্ন সামগ্রী পাঠাচ্ছেন মানুষজন। ফাউন্ডেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সবশেষ ত্রাণ তহবিলে আদ-দীন হাসপাতালের পক্ষ থেকে ১৬ হাজার বনরুটি দেওয়া হয়েছে। আকিজ বেকার্সের পক্ষ থেকে ৩৭৮০ পিস বনরুটি এবং ১ হাজার ৫০০ পিস পাউন্ড কেক। এছাড়া আকিজ বেভারেজের পক্ষ থেকে ৭ হাজার ২০০ বোতল পানি (২২৫০ এমএল), ৭ হাজার ২০০ প্যাকেট গুঁড়োদুধ (৫০ গ্রাম), ৫ হাজার ৫৬০ প্যাকেট মুড়ি (৫০০ গ্রাম) মুড়িও দেওয়া হয়েছে।

শুধু আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনই নয়, বানভাসিদের সহায়তায় বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও তাদের বেতন থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আর্থিক সহযোগিতা করছেন। 

আরএইচটি/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *