তুরস্কে ভয়াবহ হামলা

তুরস্কে ভয়াবহ হামলা

ভূমধ্যসাগরীয় দেশ তুরস্কের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানি

ভূমধ্যসাগরীয় দেশ তুরস্কের মহাকাশ ও প্রতিরক্ষাবিষয়ক কোম্পানি তার্কিস এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের সদর দপ্তরে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

রাজধানী আঙ্কারার উপকণ্ঠে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তর বিশাল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, “তার্কিস এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।”

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ভবনের সিসিটিভির ফুটেজে এক পুরুষ ও নারীকে রাইফেল হাতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে এই হামলায় তিনজন জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। একটি অসমর্থিত সূত্র জানিয়েছে, হামলাকারীরা সেখানকার কয়েকজন কর্মীকে জিম্মি করেছে। যদিও এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।

অপর সংবাদমাধ্যম পলিটিকো জানিয়েছে, এই কোম্পানিতে তুরস্কের পুরোনো এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এছাড়া সামরিক বিমানসহ নিজেদের তৈরি অন্যান্য আকাশযান বিক্রি করে থাকে তারা। যারমধ্যে রয়েছে একাধিক কাজের জন্য তৈরিকৃত মাল্টিরোল হেলিকপ্টার। এ বছর একটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীতে কোম্পানিটি তাদের হেলিকপ্টার প্রদর্শন করেছিল।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলাস্থল থেকে ধোঁয়ার বিশাল কুণ্ডলি বের হচ্ছে এবং সেখানের একটি ভবন আগুনে পুড়ছিল। হামলাটি হয়েছে আঙ্কারা থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরের ছোট শহর কাহরামানকাজানে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, যেখানে হামলা হয়েছে সেখানে বিস্ফোরণের পাশাপাশি ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ফাইটার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, যে কোম্পানিটি হামলা হয়েছে এটি তুরস্কের সামরিক খাতে বড় অবদান রাখে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইস্তাম্বুলে আকাশ ও প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রিজের একটি মেলা চলছে। এমন সময়ে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটল। এই মেলায় ইউক্রেনের এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক এসেছিলেন।

এদিকে তুরস্ক সামরিক খাতের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। তাদের বায়রাকতার ড্রোন বিশ্বব্যাপী বেশ সমাদৃত। তুরস্কের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশই আসে প্রতিরক্ষা খাত থেকে। ফলে প্রতিরক্ষা কোম্পানির ওপর হামলার বিষয়টি দেশটির জন্য বড় একটি ঘটনা।

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *