তাবিথকে সমর্থন তরফদারের, মনোনয়ন জমা দিলেন না রেদোয়ান

তাবিথকে সমর্থন তরফদারের, মনোনয়ন জমা দিলেন না রেদোয়ান

বাফুফে নির্বাচনে আজ ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। এদিন আগ্রহ ছিল সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া তরফদার রুহুল আমিন শেষ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন কি না। তিনি এই পদে আজ মনোনয়ন জমা দিলেও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান সভাপতি পদে ফরম জমা দেননি।

বাফুফে নির্বাচনে আজ ছিল মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। এদিন আগ্রহ ছিল সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়া তরফদার রুহুল আমিন শেষ পর্যন্ত সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেন কি না। তিনি এই পদে আজ মনোনয়ন জমা দিলেও আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান সভাপতি পদে ফরম জমা দেননি।

সভাপতি পদে চার জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর মধ্যে তাবিথ আউয়াল, শাহাদাত হোসেন জুবায়ের ও এফ এম মিজানুর রহমান চৌধুরী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান মনোয়ন জমা না দেয়ায় সভাপতি পদে তাবিথ আউয়াল বিজয়ী হওয়া এখন শুধুই অপেক্ষা।

তরফদার রুহুল আমিন সভাপতি পদ থেকে সরে এসে সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রার্থী হয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছেন। আজ ঢাকা জেলা ক্রীড়া সংস্থায় উপস্থিত সাংবাদিকদের আরো বিম্মিত করে বলেন, ‘আমি আগে ঘোষণা দিয়েছিলাম। এরপর তাবিথ আউয়াল দেন। ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থে আলোচনা করে আমি তাকে সভাপতি পদে সমর্থন দিয়েছি, এজন্য সভাপতি পদে মনোনয়ন গ্রহণ করিনি।’

২০২০ সালে বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। তিনি সম্প্রতি বলেছিলেন, ‘নানামুখি চাপের জন্য নির্বাচন করতে পারেননি।’ এবার সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়ার পেছনে কোনো চাপ ছিল কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এবার কোনো চাপ ছিল না। ফুটবলের স্বার্থেই আমি এবার সভাপতি (নির্বাচন) করিনি। ফুটবল ফেডারেশনের পদে না থেকেও কাজ করা যায়। ২০১৬-২০ সাল পর্যন্ত জেলা-বিভাগের ফুটবল নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি।’ 

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে গতকাল মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ও বাফুফের বর্তমান সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। তরফদার রুহুল আমিন ইমরুলের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবেন কি না এই প্রশ্ন আজ ঘুরেফিরেই এসেছে। তিনি প্রতিবারই একই উত্তর দিয়েছেন, ‘আমি এবং ইমরুল সাহেব সবাই ফুটবল উন্নয়নের জন্যই কাজ করতে চাই। ২০ অক্টোবর প্রত্যাহ্যার। এর মধ্যে অনেক আলোচনাই চলমান থাকবে।’

আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদোয়ান সভাপতির পাশাপাশি সহ-সভাপতি মনোনয়নও নিয়েছিলেন। দুই পদের কোনোটিই জমা দেননি এই সংগঠক। এর ব্যাখা দিলেন এভাবে, ‘আমরা ফুটবলের স্বার্থে একটি একক প্যানেলের কাজ করছি। এজন্য আমি কোনো পদেই জমা দেইনি। আমি মূলত ক্রিকেট সংগঠক। সামনে ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচন। অন্য ফেডারেশনে থাকলে ক্রিকেট বোর্ডে নির্বাচন করা যাবে না এটা ভেবে সহ-সভাপতিও জমা দেইনি।’

বাফুফে নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৬২ মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছিল। সভাপতি পদে চারটি বিক্রি হলেও জমা পড়েছে তিনটি, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে তিনটি বিক্রি হলে পড়েছে দু’টি। নারায়ণগঞ্জের পাইওনিয়ারের সংগঠক মুনীর হোসেন আজ বাফুফে ভবনে এসেও নির্ধারিত সময়ে ফরম জমা দিতে পারেননি। সহ-সভাপতি পদে ১২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত ৭ জন জমা দিয়েছেন। সাবেক তারকা ফুটবলার সত্যজিত দাশ রুপু, ছাইদ হাসান কানন এই পদে মনোনয়ন কিনেও শেষ পর্যন্ত শুধু সদস্য পদে জমা দিয়েছেন। সদস্য পদে ৪৩ জনের মধ্যে ৪০ জন জমা দিয়েছেন। আগামীকাল নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করবে। 

এজেড/এফআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *