ঢাকা পোস্টে কথা বলায় ঢামেকের উপ-পরিচালককে বদলি!

ঢাকা পোস্টে কথা বলায় ঢামেকের উপ-পরিচালককে বদলি!

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর অনিয়ম নিয়ে ঢাকা পোস্টে ‘ঢাকা মেডিকেলে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক!’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর অনিয়ম নিয়ে ঢাকা পোস্টে ‘ঢাকা মেডিকেলে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক!’ শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বক্তব্য দেওয়ায় তাকে বদলি করা হয়েছে।

ডা. মুহাম্মদ নুরুল ইসলামকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক হিসেবে পদায়ন হয়েছে। তার জায়গায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে পদায়ন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মো আবু রায়হান দোলন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে বদলি করা হয়।

আদেশে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।

গত রোববার ঢাকা পোস্টে ‘ঢাকা মেডিকেলে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর হিড়িক’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ওয়ার্ড মাস্টার বানানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন অনিয়ম ও আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে বক্তব্য দেন।

ঢামেক সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিককে কেন এমন বক্তব্য দিয়েছেন তার জন্য পরিচালকের কক্ষে কয়েক দফায় জেরার মুখোমুখি হন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কয়েকজন কর্মচারী বলেন, ঢাকা পোস্টের সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনিক ব্লক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে প্রশাসনিক ব্লকে দফায় দফায় মিটিং চলে। বক্তব্য দেওয়ায় হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. নুরুল ইসলামকে বদলি হয়েছে। সদ্য পদোন্নতি পাওয়া ডা. আশরাফুল আলম উপ-পরিচালক (প্রশাসন) হয়ে দেখিয়ে দিলেন তিনি হাসপাতালের অঘোষিত পরিচালক। হাসপাতালের পরিচালককে নিয়ে সম্প্রতি তিনি সুইজারল্যান্ড ভ্রমণে গিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে গিয়েই তিনি এ পরিকল্পনা করেন। তার এমন ক্ষমতার উৎস নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। হাসপাতালে ডা. আশরাফুল আলমের কথাই শেষ কথা।

কর্মচারীরা আরও বলেন, তিনি তো এখন হাসপাতালের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে গেলেন। এখন যে তার কথার বাইরে যাবে তার অবস্থা খারাপ হবে। আপনার সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তার উপ-পরিচালক হওয়ার রাস্তা আরও মসৃণ হয়ে গেলো। শুরুতে হয়ত তিনি আপনার ওপর রেগে ছিলেন। কিন্তু পদোন্নতি পাওয়ার পর সেটা ভুলেই যাবেন। তবে ডা. নুরুল ইসলামের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তিনি তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে চলেছেন বলেই আজ এ অবস্থা।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ডা. নুরুল ইসলামের সেলফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসএএ/এসকেডি

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *