ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সহকারী সচিব জাহিদ হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে কিছু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তারা ঢাকা উত্তর সিটির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সহকারী সচিব জাহিদ হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণের অভিযোগ উঠেছে কিছু কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলা হচ্ছে তারা ঢাকা উত্তর সিটির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
এদিকে এই ঘটনায় প্রতিকার ও দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলমের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেছেন জাহিদ হাসানসহ ডিএনসিসির অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এসব ঘটনা জানা গেছে।
অভিযোগ জানানোর চিঠির একটি কপি ঢাকা পোস্টের কাছে এসেছে। সেখানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সহকারী সচিব জাহিদ হাসানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা ও ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘আমরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা,কর্মচারীগণ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, ইদানিং কতিপয় দুষ্কৃতকারী অনৈতিক সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন কর্মকর্তার কর্মচারীর কক্ষে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হমকি প্রদান করছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৩ এর কর্মচারী শেখ শওকত হোসেন (লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার) এবং মোঃ ফরহাদ হোসেনের (পরিচ্ছন্ন পরিদর্শক) নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের উত্তেজিত কর্মচারীর দল জাহিদ হাসান, সহকারী সচিবে কক্ষে প্রবেশ করে। পরে তাকে শারীরিকভবে লাঞ্ছিত করার উদ্দেশ্যে তার শার্টের কলার ধরে টানাটানি করে এবং আঘাত করার জন্য উদ্যত হয়। এসময় তার কক্ষে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা, সমাজ কল্যাণ কর্মকর্তা ও সহকারী ব্যবস্থাপকে (পরিবহন) তার কক্ষ হতে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।’
‘এরপর মোঃ জাহিদ হাসান, সহকারী সচিবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হমকি প্রদান করা হয়। সেই দপ্তরের অন্যান্য কর্মচারীদের সাথেও উদ্বৃত আচরণ করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য তাদের কক্ষে গিয়ে চাপ সৃষ্টি ও প্রাণনাশের হমকির মাধ্যমে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। যা ঢাকা উত্তর দিটি কর্পোরেশনের সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ বিঘ্নিত করছে এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা হামলা মামলার আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।এই অবস্থায়, আমাদের আবেদন এই যে, চিহ্নিত এসকল দুষ্কৃতকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের এবং কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, কর্মকর্তাদের আবেদন দেওয়ার কথা শুনেছি। তবে দাপ্তরিক কাজে বাইরে থাকায় ওই আবেদন এখনও হাতে পায়নি। হাতে পেলে এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ আগস্ট ঢাকা উত্তর সিটির তথ্য কর্মকর্তা পিয়াল হাছানকেও ঢাকা উত্তর সিটির নগর ভবন থেকে মারধর করে বের করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ওই দিনও এই কর্মকর্তাকে মারধর করেছিলেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্যরা। এ ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবাই জানলেও তখন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
এএসএস/এসএমডব্লিউ