ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামসহ ১২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামসহ ১২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সহ-সভাপতি সানোয়ার পারভেজ পলক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, দেশ টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেদসহ ১২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিস্ফোরক, দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের হত্যার উদ্দেশ্যে মারধরের অভিযোগে ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সহ-সভাপতি সানোয়ার পারভেজ পলক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অরুনাংশ দত্ত টিটো, দেশ টেলিভিশন ও দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি শাকিল আহম্মেদসহ ১২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে শামীম ইসলাম (সিফান) নামের এক কলেজছাত্র ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। শামীম ইসলাম সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

মামলার এজাহারে ১২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দত্ত সমীর, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজহারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান অনিক, সাধারণ সম্পাদক হিমুন সরকার, রয়েল বড়ুয়া, ওসমান গনি, জি এম সুফি নিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মার্জিনা আক্তার ঋতু, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এলিট, সাবেক কাউন্সিলর জমিরুল ইসলাম, ন্যাংড়া সোহেল, জুম্মান, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহম্মেদ চৌধুরী রিংকু ও যুবলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক শাওন চৌধুরী প্রমুখ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের পাকা রাস্তার ওপর বাদীসহ অন্যান্যরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিল। এ সময় মামলায় উল্লিখিত ১২১ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০০/৪০০ জন ধারালো ছুরি, পিস্তল, শটগান, ককটেল, বোমা-বারুদ, লোহার রড, চাপাতি, রামদা, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, ইট-পাথরসহ মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের হাতে থাকা শটগান দিয়ে গুলি করতে থাকে। তাদের ছোড়া গুলি বাদীর কপালে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় লাগে। প্রকাশ্যে দিবালোক বাদীকে হত্যা করার জন্য আসামিরা রামদা দিয়ে একের পর এক কোপ মারতে থাকে এবং এলোপাতাড়ি মারপিট, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, বোমা নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করে। এতে অনেকেই আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। অসুস্থ থাকায় ও সাক্ষীদের কাছ থেকে আসামিদের নাম সংগ্রহ করে এজাহার দায়ে বিলম্ব হয়েছে।

বুধবার (৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাতে শামীম ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী ১২১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

তবে মামলার বাদী শামীম ইসলাম জানিয়েছেন, অনেকের নাম ভুল হয়েছে, তা সংশোধন করা হবে।

আরিফ হাসান/এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *