বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের পরিবেশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। এরপরই ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেন। ঘটনার আগে সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করছিলেন সাবেক ওই সংসদ সদস্য।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও গুলিবর্ষণের পর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের পরিবেশ। এতে গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। এরপরই ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করেন। ঘটনার আগে সেখানে নেতাকর্মীদের সাথে বৈঠক করছিলেন সাবেক ওই সংসদ সদস্য।
এছাড়াও টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনিরের টাঙ্গাইল পৌরসভার পূর্ব আদালত পাড়ার বাসায় হামলা, ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তার মালিকানাধীন দি টাঙ্গাইল ফিলিং স্টেশন ও রেস্তোরাতেও ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল ইসলাম আলমগীরের বাসাতেও ভাঙচুর করা হয়।
রোববার (৪ আগষ্ট) টাঙ্গাইল শহরে এই ঘটনাগুলো ঘটেছে। বর্তমানে শহরে পরিস্থিতি উত্তাল। শহরের বিভিন্ন সড়ক শিক্ষার্থীদের দখলে রয়েছে।
এর আগে টাঙ্গাইল শহরের বটতলা ও ময়মনসিংহ রোডের সিএন্ডবি এলাকায় ছাত্রলীগ বহুতল ভবন থেকে গুলি চালায়। এতে আন্দোলনকারী একজনের পায়ে এবং আরেকজনের পেটে গুলি লাগে বলে জানা গেছে।
এ সময় শহরের দু’একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছাড়া কোথাও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়নি।
তবে বিকাল পৌনে চারটায় নিরালামোড় এলাকায় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এরপরও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পারেনি পুলিশ।
অন্যদিকে জেলার বাইরে ঘাটাইলে পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। কালিহাতী উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসেও ভাঙচুর করা হয়। এ সময় আন্দোলনকারীদের ধাওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজহারুল ইসলাম তালুকদারসহ দুইজন আহত হয়েছেন।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শরফুদ্দীন বলেন, আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরা ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
অভিজিৎ ঘোষ/এনটি