‘টাকার জন্য’ নিজের দেড় বছরের শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করলেন মা!

‘টাকার জন্য’ নিজের দেড় বছরের শিশুকে গাছে বেঁধে নির্যাতন করলেন মা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিজের শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন এক নারী। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের ওই ঘটনার ভিডিও স্বামীকে পাঠিয়ে টাকা দিতে বলেছেন তিনি। শিশুকে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নিজের শিশু সন্তানকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করেছেন এক নারী। শুধু তাই নয়, নির্যাতনের ওই ঘটনার ভিডিও স্বামীকে পাঠিয়ে টাকা দিতে বলেছেন তিনি। শিশুকে নির্যাতনের ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুরে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার বিষয়টি জানাজানি হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুণ্ডা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে সরুফা আক্তারের সঙ্গে নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলা বজরা গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে তুষারের বিয়ে হয়। আড়াই বছর সংসার করার পর তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তাদের ঘরে ফাতেমা আক্তার নামে দেড় বছরের একটি শিশু সন্তান আছে। কিন্তু মনোমালিন্যের কারণে স্ত্রী সরুফা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে তার বাবার বাড়ি থাকছেন। কিছুদিন ধরে তিনি তার স্বামীকে টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।

তাতে কাজ না হওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ইমু নাম্বার থেকে সরুফা আক্তার তার স্বামীকে একটি ভিডিও পাঠান। তাতে দেখা যায়, সরুফা আক্তার তার সন্তানকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে রশি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করছেন।

এ বিষয়ে জানতে সরুফা আক্তারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নাসিরনগর উপজেলার কুণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, আজ বিকেলে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি।

শিশু সফুরার বাবা তোষার মিয়া বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার নাসিরনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। পুলিশ ও পরিবারের গণ্যমান্যরা মিলে বিষয়টি সমাধান করেছে। আমার স্ত্রী যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার শাস্তি সে পেয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদেরকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মাজহারুল করিম অভি/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *