টলিপাড়ায় একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগ, যা বললেন রুক্মিণী

টলিপাড়ায় একাধিক যৌন হেনস্তার অভিযোগ, যা বললেন রুক্মিণী

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। প্রেমিক দেবের হাত ধরেই টলিউডে তার পা রাখা। তবে নিজের অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই দেবের সঙ্গে ঘুরে এসেছেন মিশর। 

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। প্রেমিক দেবের হাত ধরেই টলিউডে তার পা রাখা। তবে নিজের অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই দেবের সঙ্গে ঘুরে এসেছেন মিশর। 

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুক্মিণী। যেখানে টলিপাড়ার যৌন হেনস্তার বিষয়ে কথা বলেছেন। অভিনেত্রীকে টলিপাড়ায় যৌন হেনস্তার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমাকে কখনও খারাপ অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়নি।’

রুক্মিণীর কথায়, ‘আসলে এক্ষেত্রে সকলের অভিজ্ঞতাই আলাদা, ভীষণ ব্যক্তিগত। আমি অনেক ছোট থেকে কাজ করছি। মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকে, আমি কখনও খারাপ কিছুর মুখোমুখি হইনি। ছোটতে যখন মা, দিদার সঙ্গে কাজে যেতাম, তখনও নয়, আবার ১৮র পর যখন একা যেতে শুরু করলাম তখনও না। মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা, এমনকি বিদেশেরও বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছি।’

অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘আমি অনেক ছোট থেকেই অভিনয় করার প্রস্তাবও পেয়েছে। তবে এমন কোনও অভিজ্ঞতা আমার তো হয়নি। অর্থাৎ আমার অভিজ্ঞতা এক্ষেত্রে ভালো। তবে অনেক মেয়ে আছেন, তাদের অভিজ্ঞাতা আলাদা। অনেকেরই অনেক কিছু খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। হয়ত একই লোকের সঙ্গে আমার ভালো অভিজ্ঞতা, অন্যজনের আবার খারাপ অভিজ্ঞতা। তাই এটা যার সঙ্গে হয় সেই বোঝে। যাদের সঙ্গে ঘটেছে, সেটা সত্যিই খারাপ।’

রুক্মিণী শেষে বলেন, ‘আসলে আরজি করের ঘটনার পর ওই একটা সূত্র ধরে এখন অনেক কিছু বদলে যাচ্ছে, অনেক কিছু উঠে আসছে। তবে এই যৌন হেনন্তার বিষয় কিন্তু শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সর্বত্রই আছে। আলোচনা হয়ত ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে হচ্ছে, তবে অন্য সেক্টরেও এটা আছে, হয়ত আরও ভয়ঙ্করভাবে আছে। ’

‘বরং আমরা অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কিছু ঘটলে সেটা নিয়ে ফেসবুকে লিখতে পারি, কথা বলতে পারি। আর লোকেরাও এখানে ভয় থাকে যে তারা কিছু করলে খবরে চলে আসবে। তবে অন্য সেক্টরে হয়ত কেউ লিখলে, মুখ খুললে তার চাকরিটাই চলে যাবে। তাই আমি বলব এই বিষয়টা নিয়ে প্রতিবাদ হলে সর্বক্ষেত্রে, সব সেক্টরে হওয়া উচিত।’

এমআইকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *