সিনেমার চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার বিয়ে থেকে শুরু করে পরকীয়া, বিচ্ছেদ এসব কারোই অজানা নয়। এছাড়াও নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আইনি জটিলতা, মামলা-মোকদ্দমা ফলস্বরূপ জেলও খেটেছেন নায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই জেল জীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন; সঙ্গে পরীমণি এও জানালেন, চার শিকার মধ্যে থেকেই নাকি বহু গালাগাল শিখেছিলেন তিনি।
সিনেমার চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই বেশি আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন ঢাকাই চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার বিয়ে থেকে শুরু করে পরকীয়া, বিচ্ছেদ এসব কারোই অজানা নয়। এছাড়াও নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আইনি জটিলতা, মামলা-মোকদ্দমা ফলস্বরূপ জেলও খেটেছেন নায়িকা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই জেল জীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন; সঙ্গে পরীমণি এও জানালেন, চার শিকার মধ্যে থেকেই নাকি বহু গালাগাল শিখেছিলেন তিনি।
সেই সাক্ষাৎকারে পরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, জেল জীবন থেকে কী শিখেছেন নায়িকা। উত্তরে পরীমণি বলেন, ‘আমাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। সেখান থেকে কি ভালো কিছু শিখব বলেন? আমি সেখান থেকে প্রচুর গালিগালাজ শিখেছি। ওরা (কয়েদিরা) সারাক্ষণ এ-ই করত। আর কি শিখব। দিলো তো সব নেশাখোরদের সঙ্গে থাকতে।’
কিছু দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পরীমণির ভাষ্য, ‘জেলে দেখেছি প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা গল্প। যেন পুরো একটা ভিন্ন জগৎ। সেখানে এমন অনেকে ছিলেন যারা ৪০ বারের বেশি জেলে গেছেন। মুখে কেউ কেউ ব্লেড নিয়ে ঘুরছে! গ্রুপিং, বিচিং হতো সেখানে। টাইমপাস করার জন্য সেখানে অনেকেই ইচ্ছা করে ঝগড়া করত।’
জেল থেকে ফেরার সময় পরীমণির জন্য কয়েদিরা কেঁদেছিলেন বলেও জানান পরীমণি। বলেন, ‘যখন জেল থেকে বেরিয়ে আসছিলাম, সে সময় অনেকের মন খারাপ হয়েছে। বের হওয়ার সময় কান্নাকাটি হয়েছে গলা ধরে। কারণ অনেকের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল। আবার কেউ কেউ খুশিও ছিলেন এই ভেবে যা গেলে বাঁচি!’
২০২১ সালের ৪ আগস্ট মাদককাণ্ডে পরীমণিকে আটক করে র্যাব। সে সময় তার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে মাদক মামলায় নায়িকাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই সময় ২৬ দিন কারাগারে থাকতে হয়েছিল তাকে। সেই সময়ের স্মৃতি মনে করে মজার ছলেই জেল জীবনের দুঃসহ অভিজ্ঞতা তুলে আনলেন পরীমণি।
ডিএ