জাল সনদে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এমন ৬৭৭ জনকে শনাক্ত করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। পরে তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এবার তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
জাল সনদে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন এমন ৬৭৭ জনকে শনাক্ত করে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। পরে তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এবার তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গভর্নিং বডিকে নির্দেশ দিয়েছে অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার মাউশির সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) তপন কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়েছে, শিক্ষক বা কর্মচারীর জাল সনদের সত্যতা যাচাইপূর্বক তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ পত্রে জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে মোট সাতটি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। ইতোমধ্যে এ অধিদপ্তর কর্তৃক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কতিপয় ইনডেক্সধারী শিক্ষকের এমপিও সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তালিকায় বর্ণিত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত উপরোক্ত ৭টি বিষয়ের মধ্যে কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তার দফাওয়ারী জবাব দশ কর্মদিবসের মধ্যে এ দপ্তরে পাঠাতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্দেশিত ৭ দফা কার্যক্রম হলো-
* জাল সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের এমপিও বন্ধ এবং বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকুরিচ্যুত করা;* অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ;* যারা অবসরে গেছেন তাদের অবসরের সুবিধা প্রাপ্তি বাতিল করা;* যারা স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন তাদের আপত্তির টাকা অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে আদায় করা;* বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জাল সনদধারী শিক্ষক/কর্মচারীদের অবসর ভাতা/কল্যাণ ট্রাস্টের ভাতা বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জাল সনদধারীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করা;* জাল সনদধারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের; জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এনএম/এমজে