সমুদ্রে মাছ আহরণ ও অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তির অনুসমর্থনের নথি জাতিসংঘে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।
সমুদ্রে মাছ আহরণ ও অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর ও নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তির অনুসমর্থনের নথি জাতিসংঘে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উচ্চস্তরের চুক্তি ইভেন্টে এ নথি জমা দেন।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থায়ী মিশন জানায়, বিবিএনজে অনুমোদন সামুদ্রিক বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও নিয়ন্ত্রক উদ্যোগের প্রতি বাংলাদেশের অটুট প্রতিশ্রুতি জোরদার করে।
প্রাথমিক অনুসমর্থনকারী হিসেবে বিবিএনজে চুক্তি কার্যকরের পথ দ্রুত প্রশস্ত করতে বাংলাদেশ সর্বজনীন ও কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা নিবেদিত থাকে। অনুসমর্থনের নথি জমা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ এখন অগ্রগামী দেশগুলোর দলে যোগ দিয়েছে, যারা এ গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিটি অনুমোদন করেছে।
জাতিসংঘে ২০২৩ সালের ১৯ জুন সর্বসম্মতিক্রমে বিবিএনজে চুক্তি গৃহীত হয়, যা গ্লোবাল কমন্সের পরিচালনায় এক যুগান্তকারী অর্জন। এ চুক্তি জাতীয় এখতিয়ারের বাইরে সামুদ্রিক অঞ্চলে সামুদ্রিক জৈবিক বৈচিত্র্যের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহারের জন্য আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোকে শক্তিশালী করে।
চুক্তিটি স্বচ্ছ পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়নের ওপর জোর দেয় এবং সমুদ্র সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সংগত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বাড়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।
উল্লেখ্য, ৬০ সদস্য রাষ্ট্র তাদের অনুসমর্থন, অনুমোদন, গ্রহণযোগ্যতা বা যোগদানের নথি জমা দেওয়ার ১২০ দিনের মধ্যে বিবিএনজে চুক্তি কার্যকর হয়।
এনআই/পিএইচ