স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ট্রাষ্ট হিসেবে কাজ করছি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আমরা ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ট্রাষ্ট হিসেবে কাজ করছি। জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কার্যালয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য কী? রিংগলির এ প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হাসান আরিফ বলেন, গত ১৫ বছরে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিরা খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারে না। কিন্তু স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হলে তারা প্রকৃত অর্থেই স্থানীয় পর্যায়ের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করবে। স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হলে জাতীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বিগত সরকারের আমলে নির্বাচিত স্থানীয় সরকারের সব পর্যায়ের প্রতিনিধিকে অপসারণ করেছি। সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা এবং জেলা পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে। যেসব ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে অভিযোগ ছিল, তদন্ত সাপেক্ষে সেসব পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে। আমরা চাই, স্থানীয় পর্যায়ের সব স্তরের প্রকৃত জনপ্রতিনিধিরাই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জয়ী হয়ে আসুক।
হাসান আরিফ বলেন, স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। সুইজারল্যান্ডসহ যেসব উন্নত রাষ্ট্র স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় সফলতা পেয়েছে, প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষক গ্রহণ করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক সমন্বয় এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে জানতে চেয়ে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংগলি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব কমিশনের কার্যপরিধি বা লক্ষ্য কী হতে পারে?
জবাবে উপদেষ্টা বলেন, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ একটি পরিবর্তন চেয়েছে। তাদের ম্যান্ডেট নিয়ে আমরা কাজ করছি। একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার ব্যবস্থা আমরা সবাই চাই। এ জন্য সাংবিধানিক সংস্কার প্রয়োজন। নির্বাচন ব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে পরিপূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে। শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে।
সভায় হেলথ স্যানিটেশন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মোসাম্মৎ শাহানারা খাতুন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁ, সুইজারল্যান্ডের ডেপুটি হেড অব মিশন এবং হেড অব কো-অপারেশন করিন হেনচজ পিগনানিসহ প্রমুখ।
এমএম/কেএ