কালের বিবর্তনে জঙ্গলে ভেতরে হারিয়ে গেছে মায়া সভ্যতার অনেক শহর। তবে কয়েকশ বছর পর মেক্সিকোর ক্যানোপাইতে এমন একটি শহরের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
কালের বিবর্তনে জঙ্গলে ভেতরে হারিয়ে গেছে মায়া সভ্যতার অনেক শহর। তবে কয়েকশ বছর পর মেক্সিকোর ক্যানোপাইতে এমন একটি শহরের খোঁজ পেয়েছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
তারা এই শহরে পেয়েছেন পিরামিড, খেলার মাঠ, বাঁধ পথ এবং মঞ্চ।
জঙ্গলের গাছপালার ভেতর হারিয়ে যাওয়া শহরটি প্রত্নতত্ত্ববিদরা খোঁজ মিলেছে লিদার নামের এক ধরনের লেজার স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে। তারা বলছেন, প্রাচীন লাতিন আমেরিকায় পাওয়া মায়া শহরগুলোর মধ্যে ঘনত্বের দিক দিয়ে এটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা সবমিলিয়ে তিনটি স্থানের সন্ধান পেয়েছেন। স্কটল্যান্ডের রাজধানী এডিনবার্গের সমান জায়গা স্ক্যান করে মিলেছে এগুলো। তবে তারা প্রাচীন এই মায়া শহরটি পেয়েছেন ‘সৌভাগ্যের’ কারণে।
যে লেজারের মাধ্যমে শহরটি পাওয়া গেছে সেটি প্রত্নতত্ত্ববিদরা ব্যবহার করেননি। পরিবেশের ওপর নজর রাখতে এটি দিয়ে ওই স্থানটি স্ক্যান মূলত করেছিল একটি পরিবেশবাদী সংস্থা।
তবে লুক অড-থমাস নামের এক প্রত্নতত্ত্ববিদ গুগলে ওই লেজার সার্ভেটি পান। এরপর তিনি এটি প্রত্নতত্ত্ববিদ্যার আলোকে গবেষণা করে শহরটির সন্ধান পান।
ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫০ থেকে ৮৫০ সালের মধ্যে এই শহরটিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন। কীভাবে শহরটি এমন আড়ালে চলে গেলো সেটি স্পষ্ট নয়। তবে প্রত্নতত্ত্ববিদদের ধারণা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে শহরটির বাসিন্দারা চলে গিয়েছিলেন হয়ত। নতুন করে শহরটি আবিস্কার করা প্রত্নতত্ত্ববিদরা এটির নাম দিয়েছেন ভ্যালারিয়ানা।
বর্তমানে মায়া সভ্যতার যেসব মানুষ যেখানে বাস করেন সেখান থেকে মাত্র ১৫ মিনিট হাইকিং দূরত্বে শহরটি অবস্থিত।
১৬ দশমিক ৬ স্কয়ার কিলোমিটার বিস্তৃত এ শহরটিতে দুটি প্রধান কেন্দ্র রয়েছে এবং দুই কিলোমিটার দূরত্বে বড় বড় ভবন রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অনেক ছোট ছোট বাড়ি ও রাস্তা। এছাড়া রয়েছে দুটি পিরামিড মন্দির। যেখানে শহরের বাসিন্দারা ধর্মীয় কাজকর্ম করতেন।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই