চুয়াডাঙ্গায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৫৯ স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গায় আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া ৫৯ স্বাস্থ্যকর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বৃহস্পতিবার জেলার সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাৎ হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগকৃত জনবল বিশেষ কারণে বাতিল করা হলো।
এদিকে, নিয়োগ বাতিলের খবরে ৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। তারা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শরিফুল ইসলাম নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, টানা ৬ বছর নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎ জানতে পারি আমাদের নিয়োগ বাতিল করেছে সিভিল সার্জন। কেন বাতিল করেছে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে জানতে পেরেছি নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়োগ কেন বাতিল করা হলো? বিষয়টি সুরাহা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলন করব।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইকবাল নামে এক পরিচ্ছন্নকর্মী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৪ মাস হলো নিয়োগ পেয়েছি। সকালে হঠাৎ করেই শুনি নিয়োগ বাতিল হয়ে গেছে। কী কারণে বাতিল হয়েছে এটা জানি না। রোববার অফিস খুললে আমরা সবাই সিভিল সার্জনের কাছে নিয়োগ বাতিলের কারণ জানতে চাইব।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের লতিফা নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী বলেন, নিয়োগ বাতিলের কথা শুনে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। এখন কী করব আমরা ভেবে পাচ্ছি না। বিষয়টি যেন দ্রুত সমাধান করা হয় এই দাবি জানাই।
গ্যালেন্স সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল্লাহ আল হিল বাপ্পী ঢাকা পোস্টকে বলেন, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ তিন উপজেলায় মোট ৫৯ জন স্বাস্থ্যকর্মী আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন। গত ৩০ জুন নিয়োগের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে। এখনো মেয়াদ বাড়ানোর অনুমোদন হয়নি। আর জেলার সিভিল সার্জনের হাতে সবকিছু। তিনি ইচ্ছা করলে নিয়োগ বাতিল করতে পারেন। তবে বাতিল সংক্রান্ত কোনো চিঠি এখনো আমি পাইনি।
এ বিষয়ে জানতে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাজ্জাৎ হাসানের সরকারি নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আফজালুল হক/এমএ