হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে যাওয়া সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আদালতকে বলেছেন, হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। অনেকটা জোর করে রিলিজ দিয়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন, বিচার যা হওয়ার হবে।
হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে যাওয়া সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আদালতকে বলেছেন, হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। অনেকটা জোর করে রিলিজ দিয়ে নিয়ে আসছে। চিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন, বিচার যা হওয়ার হবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজার আদালতে হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে এ কথা বলেন তিনি।
এ দিন তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক শাহ আলম মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন। বিএনপিপন্থি আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন।
নূরুল ইসলামের পক্ষে ফজলুল হক বাবু রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, তিনি আমার আপন মামা। তিনিও একজন আইনজীবী। রাজনৈতিক পরিবারের মানুষ। রাজনীতি করেছেন মানুষের সেবার জন্য, দুর্নীতির জন্য না। ২০১৯ থেকে ২৩ সাল পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের কোনো অভিযোগ নেই। রেলের উন্নতি করেছেন। এতে রেলে যাত্রীদের যাত্রার আগ্রহ বেড়েছে। তিনি এ মামলার ৬ নম্বর আসামি। ইতোমধ্যে তিনজন আগাম জামিন পেয়েছেন। তার বিষয়ে হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছি। শুনানির জন্য আজকে আছে। এর মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে জোর করে রিলিজ করিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ আইনজীবী বলেন, ঘটনা ৫ আগস্ট সকাল ৯টার। আর মামলা ১ সেপ্টেম্বরের। ঘটনার ২৬ দিন পর মামলা। এজাহারে বিলম্বের কোনো কারণ নেই। বোঝা যাচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা। হয়ত তিনি তখন বাসায় ছিলেন, এমনকি ঘুমিয়েও থাকতে পারেন। বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থ মানুষটি চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। রিমান্ডে নেওয়ার কোনো গ্রাউন্ডও নেই। তাই রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করছি।
এরপর সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আদালতকে বলেন, নিজ এলাকা পঞ্চগড়ে আমার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সারাজীবনে এ মামলা ছাড়া আর কোনো মামলা নেই। আমার দল ক্ষমতায় থাকাকালে বিরোধীদের বিরুদ্ধে একটা মামলাও দেইনি। ৩ আগস্ট পর্যন্ত আমি এলাকায় থেকে বাচ্চাদের সাইকেল বিতরণ করেছি। ৪ তারিখ সন্ধ্যায় সৈয়দপুর এয়ারপোর্ট হয়ে ঢাকায় আসি।
তিনি বলেন, এ মামলায় নাম উল্লেখ ছাড়া আসামিদের কার কী ভূমিকা কিছু উল্লেখ করেনি। দেখবেন বাদী কাউকে চেনে না। বলতেও পারবে না আসামি কারা। আমাদের মতো আইনজীবীরাই আসামিদের নাম লিখে দিয়েছেন।
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৮৩৩ নম্বর রুম থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এনআর/কেএ