চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই : ফরিদপুরে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই : ফরিদপুরে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে ইজিবাইক ছিনতাই করতে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

ফরিদপুরে ইজিবাইক ছিনতাই করতে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার অপরাধে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দিকনগর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের বাসিন্দা শহীদ শেখ (৩৮) ও নজরুল শিকদার (৩৩)। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন- ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের অম্বিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি খান (২৩)। এ ছাড়া সংশ্লিষ্টতা না থাকায় অপর আসামি মো. আরিফুল ইসলামকে (২৬) বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২১ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চারজন যুবক গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বরইতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাবুল হোসেন মোল্লার (৩০) ইজিবাইকটি ভাড়া করেন ফরিদপুর শহরে আসার উদ্দেশ্যে। ফরিদপুর এসে ওই রাতেই যাত্রীরা শহরের মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার রাস্তার ঢালে বাবুল হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে রেখে যায়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করলে বাবুলের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন। পরে ওই বছরের ২৪ মার্চ বাবুলের বড় ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ফরিদপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের পিপি নওয়াব আলী মৃধা বলেন, বর্তমানে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের প্রবণতা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। তাদের কাছে এটা একটি কড়া বার্তা যে এমন অপরাধ করে পার পাওয়া না।

এটা একটি যুগান্তকারী রায় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এ রায়ের ফলে দেশে অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে এবং সমাজে শৃঙ্খলা ফিরে আসতে ভূমিকা রাখবে।

জহির হোসেন/এমজেইউ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *