ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া টাইগার এই ওপেনার দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও ১৮৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে প্রত্যাবর্তনটা ঠিকই রাঙালেন।
ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। জাতীয় দলে ব্রাত্য হয়ে পড়া টাইগার এই ওপেনার দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করলেও ১৮৩ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে প্রত্যাবর্তনটা ঠিকই রাঙালেন। সাদমানকে দারুণ সঙ্গ দেন মুমিনুল হক। দুজনের জুটিতে শক্ত ভিতের পর মাঝে কিছুটা খেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আবারও দলের হাল ধরেন মুশফিক ও লিটন দাস। মুশফিক দেখেশুনে খেললেও ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট চালালেন লিটন। তাতে স্কোরবোর্ডে রানও বেড়েছে।
প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের ৪৪৮ রানের বড় সংগ্রহের জবাবে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৫ উইকেটে ৩১৬ রানে। কেউ সেঞ্চুরি করতে না পারলেও ফিফটি পেয়েছেন চার ব্যাটার। সাদমান ইসলামের পর ব্যক্তিগত পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন মুমিনুল, মুশফিক এবং লিটন। স্বাগতিক পাকিস্তানের চেয়ে এখনো পিছিয়ে ১৩২ রানে।
৬ উইকেটে ৪৪৮ রানে পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণার পর ১২ ওভারে ২৭ রানে দ্বিতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ আজ প্রথম সেশনে জাকির হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়ে ফলোঅনে পড়ার শঙ্কা জেগেছিল। তৃতীয় দিনে খেলতে নেমে প্রথম উইকেট হারায় দিনের পঞ্চম ওভারেই।
নাসিম শাহর অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন জাকির। দুর্দান্ত ক্যাচ তালুবন্দি করেন রিজওয়ান। ৫৮ বলে ১২ রান করেছেন জাকির। বড় স্কোর গড়তে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও। তার ব্যাটে রানখরা যেন কাটছেই না।
খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ৪২ বলে ১৬ রান। দুই উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাদমান ও মুমিনুল। দুজনই ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন। তবে ফিফটির পরে এগোতে পারেননি মুমিনুল। খুররামের দুর্দান্ত বল শান্তর মতোই বুঝে উঠতে পারেননি। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরার আগে খেলেন ৭৬ বলে ৫০ রানের ইনিংস। সেই সঙ্গে ভাঙে সাদমানের সঙ্গে ৯৪ রানের জুটি।
সাদমানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বলতে শুধুই টেস্ট। এই সংস্করণে সবশেষ ম্যাচ খেলেন ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ডারবানে। খারাপ ফর্মে কেটে গেছে অনেক বেলা। দুই বছর খেলতে নেমে দারুণ প্রত্যাবর্তন। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটি হাঁকালেন। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও ফিরে গেছেন।
মোহাম্মদ আলীর ভেতরের দিকে আসা বল ব্যাটে সংযোগ ঘটাতে পারেননি ঠিকঠাক। ১৮৩ বল খেলে ৯৩ রান করেছেন সাদমান। মুশফিককে নিয়ে ৪র্থ উইকেট জুটিতে ৫২ রানে দিয়েছেন নেতৃত্ব। সাদমানের বিদায়ের পর সাকিব নেমে টিকতে পারলেন না।
অনিয়মিত বোলার সাইম আইয়ুবের ওভারের প্রথম বলে চার মারার পর চতুর্থ বলে ড্রাইভ করেছিলেন তিনি। কিন্তু এক্সট্রা কাভারে শান মাসুদের হাতে ধরা পড়েন। সাইমকে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটা উপহার দেন সাকিব। অযথা শট খেলে ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন।
পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে মুশফিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন লিটন। ১২২ বলে ৭ চারে ৫৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলছেন অভিজ্ঞ মুশফিক। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৫৮ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রান করে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন কিপার-ব্যাটসম্যান লিটন। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে তারা ১১৮ বলে গড়েছেন ৯৮ রানের জুটি। তাদের ব্যাটে লিডের আশা বাড়ছে।
এফআই