চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশনকে কেন্দ্র করে যদি কোনো পর্যটন নগরী গড়ে ওঠে সেক্ষেত্রে পর্যটকরা চাঁদপুরের ঐতিহ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে পারবে। আসুন সবাই মিলে এ কাজটি শুরু করি।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, চাঁদপুর তিন নদীর মোহনা বড় স্টেশনকে কেন্দ্র করে যদি কোনো পর্যটন নগরী গড়ে ওঠে সেক্ষেত্রে পর্যটকরা চাঁদপুরের ঐতিহ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে পারবে। আসুন সবাই মিলে এ কাজটি শুরু করি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর শহরের পুরান বাজারের চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভবন কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসক বলেন, চাঁদপুর নদীবন্দর। একসময় যে কয়টা বাণিজ্যিক শহর ছিল তার মধ্যে চাঁদপুর একটি। অন্য শহর শিল্পনগরী হতে পারলে এখানে কেন হবে না। এক্ষেত্রে আপনাদের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। চাঁদপুরে বড় বিনিয়োগ করার জন্য উদ্যোক্তা নেই। চাঁদপুরে ইলিশ রপ্তানি নিয়ে হলেও একটি ইন্ডাস্ট্রি হতে পারত। চাঁদপুর ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র হওয়া সত্ত্বেও কোনো বড় রকমের ইন্ডাস্ট্রি হয়নি। এক্ষেত্রে আপনাদের মতো ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যেককে স্লিপ বা রশিদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো অজুহাত চলবে না। আমাদের প্রবণতা হয়েছে কত তাড়াতাড়ি বড় লোক হব। এটা আইন দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। আগে আপনি নিজে দায়িত্ববান হন। আপনার নিরাপত্তা দিতে পারবে আপনার সততা ও কর্ম। আপনাদের আমরা পরামর্শ ও মনিটরিং করতে আসব। আমরা আপনাদের প্রতি কোনো অন্যায় করব না। আপনি সৎ ও দায়িত্ববান হবেন। আমরা একটা ভালো বাজার চাই। যেখানে কোনো মনিটরিং করার প্রয়োজন হবে না।
জেলা প্রশাসক বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য অকারণে বেড়ে যাচ্ছে। অন্য জেলায় অন্য ব্যবসায়ী মূল্য বাড়াচ্ছে বলে এখানের এক ব্যবসায়ী মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এ ধরনের মন-মানসিকতা দূর করতে হবে। আপনার ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্য বেশি না হলে আপনি পণ্যের মূল্য বাড়াতে পারবেন না। আমাদের বদলে যেতে হবে। তবেই বাংলাদেশ বদলে যাবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, ইতোমধ্যে যেসব সভা হয়েছে, প্রায় সবগুলোতে যানজটের কথা উঠে এসেছে। ইতোমধ্যে আমরা ট্রাফিক আইন প্রয়োগ শুরু করেছি। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমরা সফলতার দিকে এগিয়ে যাব। প্রায় সব শহরে একটা নিয়ম আছে, মালবাহী ট্রাকগুলো নির্দিষ্ট সময়ের পর শহরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা অনেক আন্তরিক। এখানে যেসব সমস্যা রয়েছে, সেসব সমস্যা আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা সমাধান করব।
সভায় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নুর হোসেন।
চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ সভাপতি তমাল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, নাজমুল আলম পাটওয়ারীসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
আনোয়ারুল হক/এসএসএইচ