যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে একদল বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষ হয় গতকাল সন্ধ্যার পর।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকনের বিরুদ্ধে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের হাজারী গলি এলাকায় বিক্ষোভে যৌথবাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ শাখা বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, সংঘর্ষের পর যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। তারা বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে আছেন। তাদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় সংগঠন ইসকন নিয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে একদল বিক্ষোভকারীর সংঘর্ষ হয় গতকাল সন্ধ্যার পর। পুলিশ ও সেনাসদস্যদের ওপর হামলার পর শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে যৌথবাহিনীর ১৩ সদস্য আহত হন। এদের এক পুলিশ সদস্য অ্যাসিড দগ্ধ হন। তার নাম ফয়েজ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে ফেসবুকে ইসকন নিয়ে একটি ফটোকার্ড শেয়ার করেন হাজারী গলির মিয়া শপিং সেন্টারের একটি দোকানের মালিক ওসমান গণি। আর সেই পোস্টে ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়দের একাংশ দোকানটি ভাঙচুর করে এবং ওই ব্যবসায়ীর ওপর আক্রমণের চেষ্টা করেন।
মঙ্গলবার রাতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন জানান, ওসমান গণির পোস্টটি নিয়ে কিছু লোকজন সংক্ষুব্ধ ছিল। ওই ব্যবসায়ীকে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হলে পুলিশ গিয়ে আক্রমণকারীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে যারা আক্রমণ করতে উদ্যত হয়েছিল তাদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। তাদের আক্রমণে আমাদের ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এর মধ্যে একজন অ্যাসিড দগ্ধ আছে। পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিনি বলেন, যারা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত তাদের আটকে অভিযান চলছে। আর যে ব্যবসায়ীকে আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছিল তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিসের প্রেক্ষিতে কী হলো— পুরো বিষয়টি তদন্ত করে এবং যারা এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দায়ী তাদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেবো।’
আরএমএন/এনএফ