চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর

চট্টগ্রামে টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতা, তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর

চট্টগ্রামে সপ্তাহ ধরে চলছে টানা বৃষ্টি। দিনরাত হচ্ছে ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির পানির কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর। এতে করে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও কম দেখা যাচ্ছে। যার ফলে কর্মজীবী মানুষের চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে, অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

চট্টগ্রামে সপ্তাহ ধরে চলছে টানা বৃষ্টি। দিনরাত হচ্ছে ভারী বর্ষণ। বৃষ্টির পানির কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের বসতঘর। এতে করে অসহনীয় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া বেশিরভাগ এলাকার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। সড়কে গণপরিবহনের সংখ্যাও কম দেখা যাচ্ছে। যার ফলে কর্মজীবী মানুষের চলাচলে বেগ পেতে হচ্ছে, অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকে ভারী বর্ষণের কারণে পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর অধিকাংশ এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। নগরের বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, বাদুড়তলা, চকবাজার, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল, ডিসি রোড়, আগ্রাবাদের সড়ক যানচলাচল একেবারে সীমিত, সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি। এসব এলাকার অনেক বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে গেছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী গিয়ার উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘টানা চার-পাঁচদিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। প্রত্যেকদিন চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে যানচলাচল কম। মুরাদপুরে কোমর সমান পানি। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অফিসে আসতে হয়েছে।’

নগরীর রাহাত্তারপুল এলাকার বাসিন্দা নাজমুল হুদা বলেন, ‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ বাসার নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেছে। মানুষের কষ্ট হচ্ছে বেশি।’

চকবাজার এলাকার বাসিন্দা রাহুল দত্ত বলেন, ‘বাসাবাড়িতে পানি ওঠার যন্ত্রণা কেমন, সেটি নিজের বাসায় না উঠলে বোঝা যায় না। পানি ওঠার কারণে প্রাকৃতিক কাজেও যাওয়া যায় না। এর চেয়ে কষ্টের আর কিছু হতে পারে না।’

চট্টগ্রামসহ আশপাশের জেলায় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মধ্যরাত পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এতে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ভূমিধস ও বন্যার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ‘ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল অনুসারে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি জানান, ‘আজ সারারাত চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ফলে সাঙ্গু নদীতে ভয়াবহ পাহাড়ি ঢল নামার প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। ভারী বৃষ্টিতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত উত্তর চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ভূমিধসের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।’

আরএমএন/জেডএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *