চীন থেকে ছাড়া কনটেইনারবাহী একটি জাহাজ বিরতি ছাড়াই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে। এটি চট্টগ্রাম-চীন সরাসরি রুটের প্রথম জাহাজ।
চীন থেকে ছাড়া কনটেইনারবাহী একটি জাহাজ বিরতি ছাড়াই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে পৌঁছেছে। এটি চট্টগ্রাম-চীন সরাসরি রুটের প্রথম জাহাজ।
এমভি কোটা আঙ্গুন নামে জাহাজটি সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পৌঁছে। এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর জাহাজটি চীনের নিংবো-ঝুশান বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, চীন-চট্টগ্রাম রুটে আগে সরাসরি জাহাজ চলাচল করত না। ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের মাধ্যমে পণ্য আনা-নেওয়া হতো। এক্ষেত্রে ২০ থেকে ২৫ দিন সময় লাগত। এখন সরাসরি রুটের জাহাজ মাত্র ৯ দিনে চীন থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীদের আর্থিক সাশ্রয় হচ্ছে এবং সময় কম লাগছে। স্থায়ীভাবে রুটটি চালু হলে লাভবান হবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, চীন থেকে সরাসরি আসা সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী জাহাজটিতে প্রায় সাড়ে ৫০০ টিইইউস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একক) কনটেইনার ছিল। মালামাল লোড করে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর এটি পুনরায় সরাসরি চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার (কন্ট্রোল) রাজিব চৌধুরী বলেন, চায়না-চিটাগাং এক্সপ্রেস (সিসিই) নামের এই সার্ভিসে একাধিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন জাহাজের একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়েছে। এই সার্ভিসের আওতায় চীন থেকে প্রথমবারের মতো আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে মাত্র নয় দিনের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে একটি জাহাজ।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের বেশিরভাগ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। দেশের মোট আমদানির ২৫ শতাংশই আসে চীন থেকে। যদিও মোট রপ্তানির মাত্র ১ দশমিক ২২ শতাংশ যায় দেশটিতে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল বাংলাদেশ-চীন রুটে সরাসরি জাহাজ পরিচালনার। অবশেষে চালু হয়েছে। এতে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। তবে এই রুটে নিয়মিত জাহাজ চলাচল করতে হবে যেন দীর্ঘমেয়াদে সুবিধাগুলো পাওয়া যায়।
এমআর/এমজে