গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগে ফিলিং স্টেশনে, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগে ফিলিং স্টেশনে, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়ার সময় লিকেজ থেকে ময়মনসিংহ নগরীর আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন।

প্রাইভেটকারে গ্যাস দেওয়ার সময় লিকেজ থেকে ময়মনসিংহ নগরীর আজাহার ফিলিং স্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানিয়েছেন জেলা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. মোফাজ্জল হোসেন।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর রহমতপুর বাইপাস সড়কে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

তবে ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিটের টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় এদিন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়।

মো. মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার সময় একটি প্রাইভেটকারে গ্যাস দিচ্ছিল ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা। এ সময় গ্যাস লিকেজ থেকে হঠাৎ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে সাতটি গাড়ি অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এর মধ্যে একটি প্রাইভেটকার, তিনটি সিএনজিসহ অন্যান্য গাড়ি আছে।

সেখানে ভস্মীভূত প্রাইভেটকার থেকে মো. হিমেল নামে এক অগ্নিদগ্ধ ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এক নারীসহ আরও চারজন পুরুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে তাদের চিকিৎসা চলছে। নিহত হিমেল ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কিছমত গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম। এ সময় জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

ডিসি মো. মুফিদুল আলম ঢাকা পোস্টকে জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহারকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কীভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, তা ওই প্রতিবেদনে জানা যাবে।

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ/এফআরএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *