‘গুলির আঘাতে শেষ সব স্বপ্ন, কীভাবে বাঁচব আমরা?’

‘গুলির আঘাতে শেষ সব স্বপ্ন, কীভাবে বাঁচব আমরা?’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিবিদ্ধ মাগুরার সন্তান সোহান শাহ্ (২৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকায় গুলিবিদ্ধ মাগুরার সন্তান সোহান শাহ্ (২৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয়।

নিহত সোহান শাহ্ শ্রীপুর উপজেলা সদরের মহিলা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা শাহ্ সেকেন্দারের ছেলে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের হাল ধরতে ঢাকার রামপুরায় ভার্গো নামের একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন সোহান। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রামপুরা এলাকায় ছাত্র-জনতার একটি মিছিল বের হয়। সেই মিছিলে অংশ  নেন তিনি। একপর্যায়ে মিছিলে ধাওয়া, হামলা ও গুলাগুলি শুরু হয়। এ সময় একটি গুলি সোহানের হার্টের পাশ দিয়ে ঢুকে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ভর্তি না করায় পরে গত ২০ জুলাই জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সেখান থেকে অপারেশনের জন্য গতকাল মঙ্গলবার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহতের বাবা শাহ্ সেকেন্দার জানান, মঙ্গলবার অপারেশন করে বুলেট বের করার পর মারা যান সোহান। বুলেট বের করার পর মূলত অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয়েছে তার।

তিনি বলেন, সোহান ঢাকার রামপুরায় গার্মেন্টসে কাজ করতো। একটি গুলির আঘাতে আমাদের পরিবারের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এখন আমরা কীভাবে বাঁচব? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় নিহত সোহানের প্রথম জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকেল ৫টায় নিজ গ্রাম শ্রীপুর পূর্বপাড়া ঈদগাহ ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ সম্মিলিত কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এমজেইউ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *