বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতার শিক্ষার্থীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে কলকাতার শিক্ষার্থীরা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তারা।
অনুষ্ঠান স্থগিত রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় লেখক ও সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে মৌসুমী জানিয়েছেন, এখন খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গাইবার বদলে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা, যেখানে আগুন লাগছে তা নেভানো আর যেন আগুন লাগতে পারে সেখানে পাহারা দেওয়ার সময়।
নিজের শহর, দেশের পাশাপাশি বিশ্বের যেখানে অন্যায় মাথাচাড়া দিয়েছে, প্রতিবাদ জানিয়েছে যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি-সহ শহর কলকাতার প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কখনও সেই প্রতিবাদ নির্ভয়া কাণ্ডের বিরুদ্ধে। কখনও সেই প্রতিরোধ দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে ওপার বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গানের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে একদিন আগেই ৭ অগস্ট সন্ধ্যায় সেই অনুষ্ঠান বাতিলের কথা লেখেন মৌসুমী।
তার বিবরণী অনুযায়ী, ‘মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সময় এখন। মিথ্যা প্রচার আর সত্যিকারের বিপন্নতার মধ্যে তফাত করার সময়। গান গাইবার সময় আসবে আমাদের, তখন আমরা গলা ছেড়ে গান গেয়ে অন্য পারে পৌঁছে দেব।’
মৌসুমী অনুভব করেছেন, ছাত্র সংহতি রক্ষা করতে হলে দুই বাংলার ছাত্রদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
শিক্ষার্থীদের বার্তাটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ফেসবুকে নানা গুজব, মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সূত্র: আনন্দবাজার
এনএইচ