গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফটের ৩ লাখ ব্যবহারকারী হ্যাকারদের কবলে

গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফটের ৩ লাখ ব্যবহারকারী হ্যাকারদের কবলে

দিন যত এগোচ্ছে, অনলাইন প্রতারণা কিংবা সাইবার হামলা ততই বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে নামিদামি ওয়েবসাইট পর্যন্ত হ্যাকারের কবলে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এবার নাকি হ্যাকারদের টার্গেটে রয়েছেন গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহারকারীরা।

দিন যত এগোচ্ছে, অনলাইন প্রতারণা কিংবা সাইবার হামলা ততই বাড়ছে। সামাজিক মাধ্যম অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে নামিদামি ওয়েবসাইট পর্যন্ত হ্যাকারের কবলে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। এবার নাকি হ্যাকারদের টার্গেটে রয়েছেন গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার এক্সটেনশন ব্যবহারকারীরা।

সাইবার সিকিউরিটি কোম্পানি রিজনল্যাবসে এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হ্যাকাররা সহজেই এক্সটেনশন ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারে সেভ করা স্পর্শকাতর ডেটা, ব্যাংকিং ডিটেইলস এবং পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, ম্যালওয়্যারযুক্ত এসব ব্রাউজার এক্সটেনশনগুলো ২০২১ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের টার্গেট করছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে অন্তত ৩ লাখ গুগল ক্রোম ও মাইক্রোসফট এজ ব্যবহারকারী এর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।

রিপোর্টে বলা হয়, এই এক্সটেনশনগুলো ছোট সফটওয়্যার প্রোগ্রাম যা ব্যবহারকারীদের ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করতে কাজ করে। হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার এক্সটেনশনগুলো আসল টুলের মতো দেখতে এবং ব্যবহারকারীরা এগুলো কোনো কিছু না ভেবে ইনস্টল করেন। আর একবার ইনস্টল হয়ে গেলে, এই এক্সটেনশনগুলো সিস্টেমের সংবেদনশীল ডেটার পাশাপাশি পাসওয়ার্ড, ব্রাউজিং হিস্ট্রি এবং ব্যাংকের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পৌঁছে দেয়।

চিন্তার বিষয় হলো, এক্সটেনশন ডিলিট করার পরও ম্যালওয়্যার কম্পিউটারে লুকিয়ে থাকে এবং সিস্টেম চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা সক্রিয় হয়ে যায়। এই ম্যালওয়্যার এক্সটেনশনের ফাঁদে ব্যবহারকারীদের ফেলতে হ্যাকাররা ম্যালভার্টাইজিং (ম্যালওয়্যার+বিজ্ঞাপন) কৌশল ব্যবহার করেন।

কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যার আছে কি না জানবেন যেভাবে

আপনার কম্পিউটারে এই ম্যালওয়্যার আছে কি না তা চেক করে দেখতে পারেন। যদি আপনার সিস্টেম এই ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে আপনার স্ক্রিন গুগল ক্রোম এবং এজ থেকে রিডাইরেক্ট হয়ে হ্যাকারের সার্চ পোর্টালে চলে যাবে। এছাড়া সিস্টেম ফোল্ডারে থাকা ফাইলগুলো চেক করেও এই ম্যালওয়্যার শনাক্ত করতে পারবেন। 

রিজনল্যাবসের মতে, এই ম্যালওয়্যারের এক্সটেনশন সরাতে ব্যবহারকারীদের প্রথমে নির্ধারিত এক্সটেনশন সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রি কি-গুলো ডিলিট করে এই ম্যালওয়্যার থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

এমএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *