গাজীপুরে বেশিরভাগ পোশাক তৈরি কারখানায় চলছে উৎপাদন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় যোগ দিয়েছেন। তবে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে গতকাল বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানা আজও বন্ধ রয়েছে।
গাজীপুরে বেশিরভাগ পোশাক তৈরি কারখানায় চলছে উৎপাদন। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) শান্তিপূর্ণভাবে সকাল থেকে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় যোগ দিয়েছেন। তবে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে গতকাল বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানা আজও বন্ধ রয়েছে।
গতকাল সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী, বাঘেরবাজার ও মৌচাক এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিলেও আজ মঙ্গলবার কোথাও শ্রমিক বিক্ষোভের সংবাদ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সকালে যথারীতি কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। কারখানা এলাকায় নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও রয়েছে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল। সকাল থেকে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি।
শিল্প মালিক-শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েকদিন শ্রমিক অসন্তোষ চলছে গাজীপুরে। গতকাল বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, কারখানা ভাঙচুরের ঘটনায় অশান্ত হয়ে পড়ে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল। ছুটি ঘোষণা করা হয় ১৩টি কারখানায়।
পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন নারী-পুরুষ শ্রমিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। কারখানা নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ কাজ করছে। এছাড়া বিজিবি ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর টঙ্গী জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন বলেন, সকাল থেকেই গাজীপুরে বেশিরভাগ কারখানা খোলা রয়েছে। এখনো কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। কারখানা নিরাপত্তায় শিল্প পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, মহানগর পুলিশ কাজ করছে। বিজিবি ও সেনাবাহিনী টহল জোরদার করা হয়েছে। গতকাল বন্ধ ঘোষণা করা ১৩টি কারখানার কোনটিই কার্যক্রমে ফিরেনি। ১৩টি কারখানা আজও বন্ধ আছে।
শিহাব খান/আরকে