গাজায় তিন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু

গাজায় তিন ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের তিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তাদের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের তিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তাদের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

দখলদারদের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, গাজার জাবালিয়ায় ট্যাংক লক্ষ্য করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে এই তিন সেনা প্রাণ হারান। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন সেনা আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিহত সেনাদের মৃত্যুর তথ্য তাদের পরিবারকে জানানো হয়েছে। এই সেনারা হামাস নাকি অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কিনা সেটি স্পষ্ট করেনি ইসরায়েল।

এর আগে লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর হামলায় নতুন করে পাঁচ ইসরায়েলি সেনার মৃত্যু হয়। স্থল হামলায় অংশ নিতে লেবাননে যাওয়ার পর গতকাল রাতে হামলার মুখে পড়ে তারা। এতে পাঁচজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ১৯ সেনা আহত হয়েছে। আহত ১৯ জনের মধ্যে চারজনের অবস্থা বেশ গুরুতর।

তারা সবাই ৮নং আর্মড ব্রিগেডের ৮৯তম ব্যাটালিয়নের রিজার্ভ সেনা ছিলেন। এরমধ্যে মাওরি নামের এক সেনা ব্যাটালিয়নের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

(আইডিএফ) তাদের প্রাথমিক তথ্যে জানিয়েছে, নিহত এসব সেনা দক্ষিণ লেবাননের একটি গ্রামে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় তাদের লক্ষ্য করে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা রকেট ছোড়েন। হামলার মুখে পড়ার সময় ওই সেনাদের কাছে রসদ/অস্ত্র পৌঁছে দিচ্ছিল অন্যান্য সেনারা।

প্রতিরক্ষা বাহিনী আরও জানিয়েছে, রসদ গ্রহণের যে মিটিং পয়েন্ট ছিল সেখানে বেশ কয়েকটি রকেট ছোড়ে হিজবুল্লাহ। যারমধ্যে একটি রকেট আঘাত হানে একটি বাড়িতে। যেটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেনারা। যারা রসদ পৌঁছে দিতে গিয়েছিল তাদের মধ্যেও কয়েকজন আহত হয়েছেন।

আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া আজ সকালে দক্ষিণ লেবাননে আরেক সেনা আহত হয়েছেন। তাকেও উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল

এমটিআই

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *