গাজায় ইসরায়েলি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে দুই সৈন্য নিহত

গাজায় ইসরায়েলি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে দুই সৈন্য নিহত

ফিলিস্তিনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার রাতের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এই ঘটনায় ইসরায়েলি দুই সৈন্য নিহত ও আরও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার রাতের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের এই ঘটনায় ইসরায়েলি দুই সৈন্য নিহত ও আরও অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শত্রুপক্ষের গোলার আঘাতে সামরিক উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়নি বলে প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে বিধ্বস্তের এই ঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক সৈন্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও সাতজন। আহতদের উদ্ধারের পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

ইসরায়েলি বাহিনী বলেছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের কারণ জানতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। সামরিক ওই উড়োজাহাজটি গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় বিধ্বস্ত হয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামলা চালায়। হামাসের এই হামলায় ওই দিন ইসরায়েলে এক হাজার ২০৫ জন নিহত হন। পরে সেদিনই গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর ২৭ অক্টোবর থেকে গাজায় সামরিক বাহিনীর স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে এখন পর্যন্ত গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অন্তত ৩৪৪ সৈন্য নিহত হয়েছেন।

হামাস হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ড থেকে ওইদিন ২৫১ জনকে ধরে গাজায় জিম্মি করে রাখে। কয়েক দফার চুুক্তিতে কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তবে এখন পর্যন্ত গাজায় তাদের হাতে অন্তত ৯৭ জন জিম্মি বন্দি অবস্থায় আছেন। এছাড়া জিম্মি থাকাকালীন ৩৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪১ হাজার ২০ জন ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে বলে উপত্যকার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সূত্র: এএফপি।

এসএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *