গলায় ফাঁসির রশি নিয়ে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গলায় ফাঁসির রশি নিয়ে নার্সিং শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ফাঁসি চেয়ে গলায় রশি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। 

ফাঁসি চেয়ে গলায় রশি নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শকের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করে। 

জানা গেছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ফলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকজন কর্মচারী জানান, পরীক্ষা গ্রহণের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কিন্তু ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদত্যাগের ফলে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাদের বলে জানান। 

শিক্ষার্থীদের দাবি- অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনায় অতিদ্রুত পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের এক দফা দাবি জানায় তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের নিজেদের গলায় রশি ঝুলিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। 

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ করে বলেন, নানা অব্যবস্থাপনার কারণে রামেবির আওতায় নার্সিং ইন্সটিটিউট শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পেছানো হচ্ছে। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনাও ঘটে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের একটি চক্র ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। কিন্তু ভিসি কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পরীক্ষা স্থগিত করে দেন। এভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। তারা দ্রুত নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষাগ্রহণসহ ফলাফলও প্রকাশের দাবি জানান।

এর আগে বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় খড়কুটো জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় তাদের। পরে রামেবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও কলেজ পরিদর্শককে অবরুদ্ধ করা হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির কয়েজন কর্মকর্তা বলেন, আগামী সাত তারিখে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। সে জায়গা থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির ভিসি ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক না থাকায় পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারা নিয়োগ হলেই পরের দিন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও রেজিস্টার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদত্যাগ করায় এই মুহূর্তে কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শাহিনুল আশিক/আরকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *