খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতেই গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা হয়

খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতেই গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা হয়

রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  

রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করা হয় বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।  

তিনি বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট মামলায় অব্যাহতি পাওয়ায় অত্যন্ত আনন্দিত। ১/১১ এর রাজনৈতিক কুশীলবরা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে রাজনৈতিক থেকে মাইনাস করতে বানোয়াট মামলা করে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গ্যাটকো দুর্নীতির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।

মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৭ বছর আগে মামলা হলেও এতদিনে আদালত অভিযোগ গঠন করতে পারেনি। যদি অভিযোগ গঠনের মতো কোনও উপাদান এখানে থাকতো, তাহলে শেখ হাসিনা সরকার আগেই বিচার করতো। কারণ তিনি বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেষ্টা করেছিলেন। তবে, আইনানুগভাবে সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করে আদালত আমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন।

এদিন গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দাখিল করেন। এরপর অভিযোগ গঠন শুনানি শুরু হয়। আসামিপক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ, জাকির হোসেন ভুঁইয়া অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। 

অপরদিকে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত তিনজনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এছাড়া অপর ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা করেন।

অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন— সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিচার শুরু হওয়া অপর আসামিরা হলেন—  প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল (অব.) আকবর হোসেনের স্ত্রী জাহানারা আনছার, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন ও এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌসচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন গ্যাটকো পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান এ এস এম শাহাদত হোসেন ও বন্দরের সাবেক পরিচালক (পরিবহন) এ এম সানোয়ার হোসেন।

২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। এতে আসামি করা হয় চার দলীয় জোট সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া, তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে। মামলার পরদিন খালেদা জিয়া ও কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয় জরুরি ক্ষমতা আইনে। পরের বছর ১৩ মে খালেদা জিয়াসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। 

এ মামলার আসামি ২৪ জনের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমানসহ আট জন মারা গেছেন। এছাড়া জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় তাকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এএইচআর/এমএসএ 

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *