নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভিন্ন রকমের এক ঘটনাই দেখা গেল দুবাইয়ে। নারী ও পুরষ বিশ্বকাপ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়েছে ১৮ বিশ্বকাপ। তাতে নকআউট পর্বের ম্যাচের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। প্রতি বিশ্বকাপেই দুই সেমিফাইনাল এবং এক ফাইনাল মিলিয়ে অন্তত ৫৪টি নকআউট ম্যাচ হয়েছে।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভিন্ন রকমের এক ঘটনাই দেখা গেল দুবাইয়ে। নারী ও পুরষ বিশ্বকাপ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হয়েছে ১৮ বিশ্বকাপ। তাতে নকআউট পর্বের ম্যাচের সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়। প্রতি বিশ্বকাপেই দুই সেমিফাইনাল এবং এক ফাইনাল মিলিয়ে অন্তত ৫৪টি নকআউট ম্যাচ হয়েছে।
সেই ৫৪ ম্যাচে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪০ এর বেশি রান এবং বল হাতে তিন উইকেট শিকার করেছেন নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার। বিশ্বকাপের ফাইনালেই যেন দেখালেন নিজের সেরাটা। ফাইনালে ব্যাট হাতে করেছেন ৪৩ রান। বল হাতে ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স এটি।
সিরিজ সেরা অ্যামেলিয়া কার ফাইনালের উজ্জ্বল পারফরম্যান্সের সুবাদে হয়েছেন প্লেয়ার অফ দ্য ফাইনাল। ২০২২ সালে ইংল্যান্ডের স্যাম কারানের পর মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ এবং প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ হলেন অ্যামেলিয়া কার। বিশ্বকাপের পুরো আসরে ব্যাট হাতে ১৩৫ রান করে ও ১৫ উইকেট নিয়ে বাকিদের পেছনে ফেলেছেন নিউজিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার।
অ্যামেলিয়া কার এদিন মিটিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের দীর্ঘদিনের আক্ষেপটাও। ২০০৯ আর ২০১০ সালে বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল হোয়াইট ফার্নসদের। কারের সুবাদেই কি না সুজি বেটস, সোফি ডিভাইনরা মেটালেন দীর্ঘ ৯ বিশ্বকাপ আসরে শিরোপা না পাওয়ার আক্ষেপ।
দুবাইয়ের ফাইনালে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। জর্জিয়া প্লিমার শুরুতেই ফিরে গেলেও সুজি বেটসের ওয়ানডে ঘরানার ব্যাটিংয়ে ব্যাটে-বলে সমানতালেই ছিল নিউজিল্যান্ড। অ্যামেলিয়া কার সেখান থেকেই শুরু করলেন আগ্রাসী ব্যাটিং। ম্যাচের একটা পর্যায়ে ৪৩ বল বাউন্ডারি ছাড়া থাকতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। কিন্তু সেখান থেকেই অ্যামেলিয়া কার এবং ব্রুক হ্যালিডে খেললেন দুর্দান্ত দুই ইনিংস।
৪২ বলে দুজনের জুটি থেকে উঠে এলো ৫৭ রান। তবে আলাদা করে দর্শকের চোখে থেকে যাবে অ্যামেলিয়া কারের ইনিংসটা। ব্রুক হ্যালিডেকে সঙ্গ দিতে কখনো খেলেছেন ধীরগতিতে। কখনোবা রানের গতি বাড়িয়েছেন নিজেই। তাজমিন ব্রিটসের হাতে ক্যাচ দিয়ে যখন সাজঘরে ফিরছিলেন তখন নামের পাশে রান ৪৩। নিউজিল্যান্ড শেষ পর্যন্ত করতে পেরেছে ১৫৮ রান।
বল হাতে এদিন অ্যামেলিয়ার শিকার হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট, আনিকা বশ এবং অ্যানেরি ডেরেকসন। লরা উলভার্টের উইকেটটাই অবশ্য ছিল ফাইনালের টার্নিং পয়েন্ট। নারী ক্রিকেটের সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার বিশ্বকাপের আসরেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
আর আনিকা বশ অনেকটা একা হাতেই বিদায় করেছিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। সেমিফাইনালে তার ৭৪ রানের ইনিংসটা বিদায় করেছিল অস্ট্রেলিয়াকে। দুজনকেই দুবাইয়ের ফাইনালে ফিরিয়েছেন অ্যামেলিয়া কার। ফাইনালটাও সেখানেই হয়ত জিতিয়ে দিলেন দলকে।
জেএ