কোটা সংরক্ষণের নামে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বিভিন্ন হাসপাতাল-প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বমোট ৬৭২টি পদ ফাঁকা করে রেখেছেন। আর এতে করে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাননি ৩৪তম বিসিএসের ৮৭ চিকিৎসকসহ ৬৭২ জন সুপারিশপ্রত্যাশী কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা বৈষম্যের যৌক্তিক সমাধান হওয়ায় অবিলম্বে বঞ্চিতদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
কোটা সংরক্ষণের নামে তৎকালীন সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বিভিন্ন হাসপাতাল-প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বমোট ৬৭২টি পদ ফাঁকা করে রেখেছেন। আর এতে করে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাননি ৩৪তম বিসিএসের ৮৭ চিকিৎসকসহ ৬৭২ জন সুপারিশপ্রত্যাশী কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে কোটা বৈষম্যের যৌক্তিক সমাধান হওয়ায় অবিলম্বে বঞ্চিতদের নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
শনিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ক্যাডারবঞ্চিতরা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের (এনআইসিভিডি) প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসক তফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, দেশের চাকরির পরীক্ষার ইতিহাসে ৩৪তম বিসিএস একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২০১৩ সালে আমাদের জার্নি শুরু হয়েছিল, এখনও চলমান। আমরা হাল ছেড়ে দেইনি। সফল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, কোটা সংরক্ষণের নামে ৬৭২টি পদ খালি রাখে তৎকালীন স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ নিয়ে বারবার আন্দোলন করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আমাদেরকে কোনোরকম গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। উল্টো হুমকি দেওয়া হয়েছে, যারা বৈষম্যের শিকার, তারা কীভাবে সরকারি চাকরি পায়, সেটি দেখে নেবে স্বৈরাচার সরকার।
তফিজুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা চাই, আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আমরা প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করেছি, তবে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম জনি বলেন, আমরা সরাসরি কোটা বৈষম্যের শিকার, বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ক্যাডার পদ পাইনি। অন্যান্য বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়নি। কিন্তু ৩৪তম বিসিএসে কোটা সংরক্ষণ করা হয়েছে। এটি সাংবিধানিক অধিকারহরণ।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দুটি দাবি তুলে ধরেন বক্তারা। এর মধ্যে নির্বাহী আদেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৈষম্যমূলক ও অসাংবিধানিক ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে প্রকাশিত আদেশটি বাতিল করার কথা বলা হয়। দ্বিতীয়ত নির্বাহী আদেশে ৩৪তম বিসিএস কোটার জন্য সংরক্ষিত ৬৭২টি শূন্যপদে বৈষম্যের শিকার প্রার্থীদের থেকে মেধার ভিত্তিতে সুপারিশ করা।
টিআই/জেডএস