কেউ করছেন সড়ক পরিষ্কার, কেউ দিচ্ছেন মন্দির পাহারা

কেউ করছেন সড়ক পরিষ্কার, কেউ দিচ্ছেন মন্দির পাহারা

কেউ করছেন সড়ক পরিষ্কার, কেউবা দিচ্ছেন মন্দির পাহারা। এভাবে দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নিজেরাই পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দিনভর এমন দৃশ্যের দেখা মিলে নোয়াখালীতে। 

কেউ করছেন সড়ক পরিষ্কার, কেউবা দিচ্ছেন মন্দির পাহারা। এভাবে দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নিজেরাই পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দিনভর এমন দৃশ্যের দেখা মিলে নোয়াখালীতে। 

জানা যায়, নোয়াখালী জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা সকাল থেকে অবস্থান নেন জেলা শহরে। তারপর ভাগ হয়ে যান মন্দির পাহারায় ও সড়কের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়। দীর্ঘদিন আন্দোলনের ফলে সড়ক বিভাজনের গাছ পরিষ্কার ও সড়কে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করেন তারা। কেউবা আবার সংখ্যালঘুদের স্থাপনা, এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় পাহারা দেন।

সড়ক পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী লাই লাতুল জান্নাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছি আমরা। তাই সংস্কার শুরু করেছি মূল থেকে। আমরা সড়কে নিরাপত্তার পাশাপাশি সড়কের ময়লা পরিষ্কার করেছি। এ ছাড়াও সড়ক বিভাজনের সৌন্দর্য বর্ধনে থাকা গাছগুলো পরিচর্যা করেছি। পাশাপাশি খুঁটি দিয়েছি। আমার দেশ আমি দায়িত্ব নিয়েছি, এতে কোনো কষ্ট নাই। মানুষ আমাদের সাধুবাদ দিয়েছে।

মন্দিরের পাহারার দায়িত্বে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সংখ্যালঘুদের স্থাপনা এবং সকল রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল সমন্বয়ক এবং ছাত্র জনতা। আমরা অন্যদেরও নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করছি। তা ছাড়া সকল গুজব থেকে দেশকে রক্ষা করার শপথ নিয়েছি আমরা। মনে রাখতে হবে, এই দেশটা আমাদের সবার।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৫ আগস্ট) কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে অনেক থানা থেকে পুলিশ সদস্যরা চলে গেছেন। রাস্তায়ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতেও দেখা যাচ্ছে না।

হাসিব আল আমিন/এএমকে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *