কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগ

কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা পদত্যাগ করেছেন। কয়েকদিন আগে তিনি চিঠির মাধ্যমে সভাপতি ও দুদকের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের কাছে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। পরে গতকাল (শনিবার) রাতে কারাতে ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে ক্য শৈ হ্লার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। একইসঙ্গে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম সম্পাদক নয়না চৌধুরিকে।

কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ক্য শৈ হ্লা পদত্যাগ করেছেন। কয়েকদিন আগে তিনি চিঠির মাধ্যমে সভাপতি ও দুদকের সাবেক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানের কাছে পদত্যাগপত্র প্রেরণ করেন। পরে গতকাল (শনিবার) রাতে কারাতে ফেডারেশনে আনুষ্ঠানিক সভার মাধ্যমে ক্য শৈ হ্লার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। একইসঙ্গে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় যুগ্ম সম্পাদক নয়না চৌধুরিকে।

নয়না চৌধুরি সাবেক জুডো খেলোয়াড় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগে কর্মরত। তিনি জুডো ও কারাতে দুই ফেডারেশনেই যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কারাতে ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। এ সম্পর্কে নয়না বলেন, ‘গতকালের সভাটি ছিল মূলত সাধারণ সম্পাদকের পদত্যাগপত্র নিয়েই। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন এমনটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। সভায় তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আজ ফেডারেশন থেকে এই সংক্রান্ত চিঠি প্রদান করা হবে।’

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে নানা অঙ্গনে পালাবদলের ঘটনা ক্রীড়াঙ্গনেও ঘটছে। বিভিন্ন ফেডারেশনে যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তাদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে জড়িত। ক্য শৈ হ্লা বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিন পাবর্ত্য জেলার চেয়ারম্যান অনানুষ্ঠানিকভাবে উপমন্ত্রীর মর্যাদাসম্পন্ন। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সময়ের দাবি বিবেচনা করে ক্য শৈ হ্লা ফেডারেশন থেকে স্বেচ্ছায় সরে গেলেন।

ক্য শৈ হ্লা সাবেক কারাতেকা। কারাতে ফেডারেশনের জন্য বেশ আন্তরিক ও সক্রিয় ছিলেন তিনি। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে ক্য শৈ হ্লা–ই প্রথম কোনো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম মেয়াদে ভোটাভুটির পর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন দ্বিতীয় মেয়াদে। ২০১৯ সালে এসএ গেমসে কারাতের তিনটি স্বর্ণ তার আমলেই। বিদেশেও কারাতে অংশগ্রহণ ছিল অনেক। ফেডারেশনে আর্থিক সহায়তাও দিয়েছেন নানাভাবে। রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতা থাকলেও ক্রীড়াঙ্গনে সেই চর্চার তেমন অভিযোগ ছিল না। এরপরও রাজনৈতিক পালাবদলে দেশের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তিনি দ্বিতীয় মেয়াদ পূরণের দেড় বছর (২০২৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত মেয়াদ) আগেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করলেন। 

৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে ক্রীড়াঙ্গনে সবার আগে পদত্যাগ করেছেন সাবেক তারকা ফুটবলার ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মন্টু, যুগ্ম সম্পাদক শরাফত আলী, ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়ের (পাপন শুধু সভাপতি পদ থেকে, নাদেল নারী কমিটির প্রধান থেকে) পর কারাতে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করলেন। এ ছাড়া জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে অপসারণ করেছেন।

সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দাবা, কাবাডি ও ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিকে সরিয়েছে। সামনে আরও অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ কিংবা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অপসারণ ঘটনা ঘটতে পারে। এই দুইয়ের বিপরীতে কয়েকজন আবার পদে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বলে জোর গুঞ্জন আছে ক্রীড়াঙ্গনে। বিশেষত ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু ও তার অতি ঘনিষ্ঠজন হ্যান্ডবল ফেডারেশনের ত্রিশ বছরের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনূরের নাম শোনা যাচ্ছে। 

এজেড/এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *