কানপুরে বাংলাদেশের জন্য কঠিন ফাঁদ ভারতের 

কানপুরে বাংলাদেশের জন্য কঠিন ফাঁদ ভারতের 

উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পিচ প্রস্তুতকারক শিব কুমারের বিগত কয়েকটা দিন বেশ ব্যস্ততার মাঝেই কেটেছে। লম্বা সময় পর ভারতের জাতীয় দল আসছে উত্তর প্রদেশের এই স্টেডিয়ামে। সময়ের হিসেবে প্রায় তিন বছর পর এখানে পা রাখবেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। আর বাংলাদেশের জন্য কানপুরের গ্রিন পার্কে এটাই প্রথম ভ্রমণ। 

উত্তর প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পিচ প্রস্তুতকারক শিব কুমারের বিগত কয়েকটা দিন বেশ ব্যস্ততার মাঝেই কেটেছে। লম্বা সময় পর ভারতের জাতীয় দল আসছে উত্তর প্রদেশের এই স্টেডিয়ামে। সময়ের হিসেবে প্রায় তিন বছর পর এখানে পা রাখবেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা। আর বাংলাদেশের জন্য কানপুরের গ্রিন পার্কে এটাই প্রথম ভ্রমণ। 

উত্তর প্রদেশের আঞ্চলিক এক গণমাধ্যমে পিচ সম্পর্কে অনেকটা খোলাভাবেই কথা বলেছেন শিব কুমার। সহজ ভাষাতেই জানালেন, বাংলাদেশ টেস্টের জন্য তিনটে পিচ তৈরি করতে বলা হয়েছে তাকে। যার মাঝে ৫ নম্বর উইকেটেই খেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আজ ২৫ তারিখ ও আগামীকাল এখানেই অনুশীলন করবে দুই দল। দুই দলের অনুশীলনের জন্য ব্যবহার করা হবে বাকি দুই উইকেট। 

পিচের চরিত্র সম্পর্কে ইএসপিএন ক্রিকইনফো আগেই ধারণা দিয়ে রেখেছিল। চেন্নাইয়ের মতো লাল মাটিতে না, এবারে খেলা হবে কালো মাটির পিচে। স্বাভাবিকভাবেই এই পিচে স্পিনাররা পাবেন সুবিধা। ঠিক যেমনটা দেখা যায় মিরপুরের শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে। সকালে কিছুটা বাউন্স পাওয়া যাবে। তবে বল পিচে পড়ার পর গতি পাওয়া বা বাউন্স থাকবে না। তেমনি স্পিনাররা পাবেন না অস্বাভাবিক টার্ন। 

শিব কুমার অবশ্য আরেকটু যোগ করেছেন এই তথ্যের সঙ্গে। প্রথম দিনটা বোলারদেরই থাকবে। যদিও দ্বিতীয় সেশনে ঠিকই কিছুটা সুবিধা পাবেন ব্যাটাররা। ঠিক একইভাবে দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে ব্যাটারদের আধিপত্য দেখা যেতে পারে। একই কথা জানালেন গ্রিন পার্কের প্রধান পিচ কিউরেটর জাগগু দাদা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদকের কাছে জানিয়েছেন, ‘আমি ৪১ বছর ধরে এই মাঠে কাজ করছি। বলতে পারি তৃতীয় দিন থেকে ম্যাচ হবে স্পিনারদের।’ 

ভারতের পিচ বরাবরের মতোই স্পিন সহায়ক। কানপুরে এর আগে দুই টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিন নিয়েছেন ১৬ উইকেট। ভারত ২০২১ সালে শেষবার কানপুরে টেস্ট আয়োজন করে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারতীয় দল অশ্বিন, জাদেজা এবং অক্ষরের স্পিন ত্রয়ী নিয়ে মাঠে নেমেছিল। এমনকি চেন্নাইয়ের লাল মাটির পিচেও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বনাশ ডেকেছিলেন অশ্বিন-জাদেজা।

সেসব বিবেচনা করে কানপুরেও স্পিন আধিপত্য দেখা যাবে তা অনুমান করাই যায়। বাংলাদেশে বাঁহাতি ব্যাটারের আধিক্য বিবেচনায় ভারতের স্পিন বিভাগ এমনিতেই পাবে বাড়তি অনুপ্রেরণা। এছাড়া এই মাঠের অতীত ইতিহাসও থাকছে স্পিনের পক্ষে। সঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা আর বাতাসও বোলারদের সঙ্গ দেবে দারুণভাবে। 

এর আগের কানপুরের গ্রিন পার্কে হওয়া ২৩ টেস্টে স্পিনাররা পেয়েছেন ৩৪৬ উইকেট। এই মাঠের শীর্ষ ৫ উইকেটশিকারীর ৪ জনই স্পিনার। আর পেসারদের সম্মিলিত শিকার ২৬০ উইকেট। এসব পরিসংখ্যান বিবেচনায় এনে ভারত দুই পেসার-তিন স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজাবে এমন ধারণা করছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে দলে কুলদীপ যাদবের জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  

জেএ

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *