কানপুরে বাংলাদেশকে হারাতে না পারলে বড় ধাক্কা খাবে ভারত

কানপুরে বাংলাদেশকে হারাতে না পারলে বড় ধাক্কা খাবে ভারত

লড়াইটা তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে হলেও ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড দেখলেই টের পাওয়া যায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে জয়ের শতাংশ যত বেশি সম্ভব ধরে রাখতে হবে প্রতিযোগী দলগুলোকে। তাই ভারতেরও লক্ষ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়। নইলে এর প্রভাব পড়বে রোহিত-কোহলিদের পরবর্তী সিরিজগুলোতে।

লড়াইটা তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে হলেও ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের প্রথম টেস্ট ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াড দেখলেই টের পাওয়া যায়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে হলে জয়ের শতাংশ যত বেশি সম্ভব ধরে রাখতে হবে প্রতিযোগী দলগুলোকে। তাই ভারতেরও লক্ষ্য বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়। নইলে এর প্রভাব পড়বে রোহিত-কোহলিদের পরবর্তী সিরিজগুলোতে।

চেন্নাইয়ে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল স্বাগতিক রোহিত শর্মার দল। এরপর কানপুরে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দুই দিন শেষ হলেও হয়েছে কেবল ৩৫ ওভার। বৃষ্টির বাগড়ায় ভেস্তে গিয়েছিল প্রথমদিনের অধিকাংশ সময়, আজ মাঠে কোনো বল গড়ানো ছাড়াই দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। ফলে ফলাফল নির্ধারণে রয়েছে আর তিন দিন। এর মধ্যে অবশ্য তৃতীয় দিনও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে ভারতের অবস্থান সবার শীর্ষে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭১.৬৭ শতাংশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে চলমান সিরিজ জিতলে, বাকি আট ম্যাচের মধ্যে কেবল তিনটি জয়ই যথেষ্ট হবে ভারতের। তবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের ফল না পক্ষে না এলে কিংবা ম্যাচটি ড্র হলে, রোহিতদের ফাইনালে ওঠার সমীকরণ কিছুটা কঠিন হয়ে পড়বে।

কানপুর টেস্ট ড্র হলে পরবর্তী আট ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই জিততে হবে ভারতকে। সেসব ম্যাচ জিতলে তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে শীর্ষ দুইয়ে থেকে ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। তবে পাঁচ জয় পাওয়া রোহিত-কোহলিদের জন্য কঠিনই বটে। কারণ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্ট এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলবে পাঁচ টেস্টের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের আসন্ন সিরিজ ঘরের মাঠে, সে হিসেবে তারা সেটি জিততে চাইবে ৩-০ ব্যবধানে। এরপর অজিদের বিপক্ষে দুটি জয় পেলেই চলবে।

ভারত এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ দুটি সিরিজ জিতেছিল, তবে এবারও সেই জয়ের ধারা ধরে রাখা বেশ চ্যালেঞ্জিং। ঘরের মাঠে অজিদের দাপুটে পারফরম্যান্সে কাবু থাকে যেকোনো বড় দলই। তবে ভারতের জন্য স্বস্তির খবর– কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটা ঘরের মাঠে খেলবে। যেখানে টানা ১৭ সিরিজ অপরাজিত রোহিতের দল। অবশ্য কিউইরাও ছেড়ে কথা বলবে না, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে তাদের জন্যও আসন্ন সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ।

লাল বলের এই টুর্নামেন্টে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া এবারের আসরের টেবিলে দুইয়ে রয়েছে। ১২ টেস্টে তাদের পয়েন্ট ৬২.৫০ শতাংশ। তাদের পরের অবস্থান শ্রীলঙ্কার, বর্তমানে ঘরের মাঠে কিউইদের বিপক্ষে দাপট দেখানো দলটি ৮ টেস্টে ৫০ শতাংশ পয়েন্ট পেয়েছে। চারে থাকা কেইন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ডের পয়েন্ট ৪২.৮৬ শতাংশ। ৪২.১৯ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অবস্থান ইংল্যান্ডের।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *