কাটছে না মাছের বাজারের অস্থিরতা, দাম বাড়তিই

কাটছে না মাছের বাজারের অস্থিরতা, দাম বাড়তিই

বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও মাছের বাজার দীর্ঘদিন ধরে বাড়তিই থেকে যাচ্ছে। ক্রেতাদের মতে, মাছের বাজারের অস্থিরতা কাটছে না কোনোভাবেই। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে, যা আর কমেনি।

বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়মিত ওঠানামা করলেও মাছের বাজার দীর্ঘদিন ধরে বাড়তিই থেকে যাচ্ছে। ক্রেতাদের মতে, মাছের বাজারের অস্থিরতা কাটছে না কোনোভাবেই। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ফিডের দাম বৃদ্ধির পর থেকেই মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে, যা আর কমেনি।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তিই দেখা গেছে। পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি আগের মতো বাড়তি দামে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে আগের মতো বাড়তি দামেই অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাছের দাম। বাজারে প্রতি কেজি চাষের কই ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, পাবদা প্রতি কেজি ৪০০ টাকা, রুই প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, প্রতি কেজি পাঙাস মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়, কাঁতল মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া, চিংড়ি প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, সরপুঁটি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, রুপচাঁদা প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, গলসা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৬০০ টাকা, চাপিলা মাছ প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেসরকারি চাকরিজীবী তুহিন আহমেদ বলেন,  বাজারের সব ধরনের পণ্যের দাম উঠানামা করলেও ব্যতিক্রম দেখি মাছের বাজারে। ‌দীর্ঘদিন যাবত মাছের দাম কমার কোনো নাম নেই। সবসময় অতিরিক্ত দামে সব ধরনের মাছ কিনতে হচ্ছে। একসময় পাঙাস, তেলাপিয়া, চাষের কই এসব মাছের দাম কম থাকলেও বর্তমান বাজারে এগুলোরও দাম বেশি।

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারের আরেক ক্রেতা শহিদুল ইসলাম একই ধরনের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, এতদিন ধরে মাছের বাজার বাড়তি যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে মাছের বাজার মনিটরিং করার কোনো উদ্যোগ কখনো দেখি না। বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছেমতো দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে মাছ বিক্রি করছে। বাজারে এমন কোনো মাছ নেই যার দাম বাড়তি না। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ ক্রেতারা তো আর মাছই কিনতে পারবে না।

রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা বিদ্যুৎ সরকার বলেন, মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজারে মাছের দাম বাড়তি। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত আর মাছের দাম কমেনি। আমরা পাইকারি বাজারে গেলেও বাড়তি দামেই মাছ কিনে আনতে হয়, সেই প্রভাব পড়ে খুচরা বাজারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন থেকে তুলনামূলক কম দামে পাইকারি বাজার থেকে মাছ কিনে আনতে পারব, তখন আমরা তেমন কম দামেই খুচরা বাজারে মাছ বিক্রি করতে পারব। আমাদের কেনা যেমন দামে বিক্রিও তেমন দামে করতে হয়। ‌

এএসএস/এমজে

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *