ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ফলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপনের কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত অচল টাওয়ারের সংখ্যা কমে পৌঁছেছে ৭৩২ এর ঘরে। যার পরিমাণ সকাল ৯টায়ও ছিল ৮৫৯টি।
ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। ফলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির টাওয়ারে নেটওয়ার্ক পুনঃস্থাপনের কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টা পর্যন্ত অচল টাওয়ারের সংখ্যা কমে পৌঁছেছে ৭৩২ এর ঘরে। যার পরিমাণ সকাল ৯টায়ও ছিল ৮৫৯টি।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) অস্থায়ী পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত হালনাগাদ করা তথ্য অনুযায়ী, এখনও টেলিযোগাযোগ পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে এমন জেলার সংখ্যা ১১টি। জেলাগুলো হচ্ছে– নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট ও কক্সবাজার।
এর মধ্যে নোয়াখালী জেলায় ২৩৯টি, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৩৫টি, ফেনী জেলায় ৩৫৯টি, কুমিল্লা জেলায় ৪২টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৮টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১৩টি, খাগড়াছড়ি জেলায় ৮টি, হবিগঞ্জ জেলায় ৭টি, মৌলভীবাজার জেলায় ৬টি, সিলেট জেলায় ১০টি ও কক্সবাজার জেলায় ৫টিসহ মোট ৭৩২টি টাওয়ার অচল হয়ে আছে। এর বিপরীতে এই ১১টি জেলার মোট টাওয়ার রয়েছে ১৪ হাজার ৫৫১টি। যার মধ্যে এখন সচল রয়েছে ১৩ হাজার ৮১৯টি।
বিটিআরসি সূত্রে আরও জানা গেছে, টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে মোবাইল অপারেটর এবং টাওয়ারকো অপারেটরদের টেকনিক্যাল লোকবল, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, জেনারেটর ও জ্বালানি পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংক অপারেটর কোম্পানির প্রত্যেককে একটি ট্রাক এবং একটি স্পিডবোট সরবরাহ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে বন্যার পানির লেভেল নিচে নেমে আসায় এবং গন্তব্যস্থলে সড়ক পথে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় টাওয়ারকো অপারেটর সামিট ও ইডটকোর চাহিদা অনুযায়ী সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ট্রাক সরবরাহ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরএইচটি/এসএসএইচ