কড়া নিরাপত্তার মাঝেও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ বাতিলের আন্দোলন

কড়া নিরাপত্তার মাঝেও বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ বাতিলের আন্দোলন

কানপুরে আজ (শুক্রবার) থেকে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচসহ চলমান সিরিজটি বাতিলে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল ভারতের বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাই নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কানপুরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। এমন অবস্থায়ও আজ কানপুরে আন্দোলন করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)।

কানপুরে আজ (শুক্রবার) থেকে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এই ম্যাচসহ চলমান সিরিজটি বাতিলে আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল ভারতের বেশ কয়েকটি সংগঠন। তাই নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কানপুরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। এমন অবস্থায়ও আজ কানপুরে আন্দোলন করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের ভেন্যু থেকে ১৫০০ মিটার দূরত্বে সধভাবনা চৌরাহা এলাকায় আন্দোলন করেছে বেশ কয়েকটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। যেখানে তারা হনুমান চলিশা ও ম্যাচ বাতিলের স্লোগান তোলে। পরে তাদের প্রতিবাদী সম্মেলনের খবর পেয়ে পুলিশ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। আন্দোলনে ছিল হিন্দু পরিষদ, বজরং দলসহ কয়েকটি সংগঠন।

এর আগে কানপুর এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে এক হাজার পুলিশ ও ১০০ ক্যামেরা স্থাপনের কথা জানিয়েছিল দেশটির সংবাদমাধ্যম। আজ ম্যাচ বাতিলের দাবিতে জমায়েতে শুরুর পর উত্তর প্রদেশ (দক্ষিণ) পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অঙ্কিতা শর্মার নেতৃত্বে তাদের স্টেডিয়াম অভিমুখে যাওয়ার আগে আটকে দেওয়া হয়। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মোকাবিলায় নিকট দূরত্ব থেকে সজাগ থাকতে বলা হয় অ্যান্টি-টেরোরিস্ট স্কোয়াডকে (এটিএস)।

পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নেতৃত্বে থাকা অঙ্কিতা শর্মা বার্তাসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ভিএইচপি ও বজরং দলের ডজনসংখ্যক সদস্য এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে হনুমান চলিশার নামে স্লোগান দিয়েছে।

অন্যদিকে, আরেক গণমাধ্যম হিন্দুস্তান লাইভ তাদের এক খবরে জানায়, গ্রিনপার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা পুড়িয়ে দেয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ম্যাচ শুরুর পর থেকে স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন তারা। বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা চেয়ে পোস্টার হাতে দেখা গিয়েছিল অনেককেই। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল র‍্যালি দেখা যায় গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে।

খবরে আরও বলা হয়, তবে এ ঘটনা থেকে বড় কোনো অশান্তি ছড়ায়নি। আপাতত পুলিশের নিয়ন্ত্রণেই আছে পরিস্থিতি। মূলগঞ্জ থেকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা পদযাত্রা শুরু করেন। চলে আসেন সদ্ভাবনা চৌকির কাছে। সেখানে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। পরে তাদের সরিয়ে দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।

এএইচএস

Visit Source Page

Leave a Comment

Comments

No comments yet. Why don’t you start the discussion?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *