সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অধ্যক্ষ ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তীর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সিলেট ওসমানী মেডিকেলের কলেজ ক্যাম্পাস ও হলগুলোয় ছাত্র-ছাত্রীদের সব ধরনের রাজনৈতিক দলের (ছাত্রদল, ছাত্রলীগ, ছাত্রশিবির, ছাত্রী সংস্থা, ঐতিহ্য, অঙ্গীকার, সুহৃদ ও যেকোনো রাজনৈতিক দল) কার্যক্রম, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক লবিং ও ক্লাবগুলোয় রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ সম্পর্কিত ১৯৯৪ সালের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে ২০২৪ সালে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।
একই প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে সকল চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাংলাদেশ সার্বিস রুল (বিএসআর) অনুযায়ী সঠিকভাবে চাকরি বিধিমালা মেনে চলার পাশাপাশি সকল প্রকার সরাসরি রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুষ্ঠিত ২৯ আগস্টের কাউন্সিলে গঠিত তদন্ত কমিটি ৩১ আগস্টে সুপারিশ করে। ওই সুপারিশ অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ ছাড়া একই প্রজ্ঞাপনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে ছয়জন চিকিৎসককে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়। পাশাপাশি তাদের বদলির পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। একই অভিযোগে আরও তিনজন শিক্ষক এবং আন্দোলন চলাকালে মধ্যরাতে মেয়েদের হল থেকে বের করে দেওয়ায় আরও দুজন শিক্ষককে শোকজ করেছে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আন্দোলনের সময় হুমকি ও হামলায় জড়িত থাকায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন ব্যাচের আট চিকিৎসককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
মাসুদ আহমদ রনি/এএমকে